চলতি বছর ২০২০ সালের মধ্যেই ধ্বংস হতে যাওয়া কর্ণফুলী পেপার মিলকে (কেপিএম) আধুনিকায়ন করার ঘোষণা দিয়েছেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) কেপিএম পরিদর্শনে এসে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী চান এই দেশে ব্যাপক পরিমাণে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠুক। কেপিএম বন্ধ হলে কাগজের বাজার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর দখলে যাবে।
কেপিএমে দুর্নীতির পাশাপাশি স্বজনপ্রীতির কারণে এটি লোকসানে পরিণত হচ্ছে মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঐতিহ্যবাহী কর্ণফুলী পেপার মিলকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। তাই ২০২০ সালের মধ্যে কেপিএমকে আধুনিকায়ন করা হবে। বর্তমানে এখানে যে মানের কাগজ উৎপাদন করা হচ্ছে, তা দিয়ে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি পরিশোধ করা অসম্ভব। তাই মিলের আধুনিকায়ন করে এখানে মানসম্মত কাগজ তৈরি করা হবে।
প্রতিষ্ঠানটিতে আরও মানসম্মত কাগজ তৈরির সম্ভাব্যতার কথা উল্লেখ করে শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইউরোপের কয়েকটি দেশের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কর্ণফুলী কাগজ কলকে শীঘ্রই আধুনিকায়ন করা হবে। বর্তমানে কেপিএম একটি লোকসানি প্রতিষ্ঠান। আমরা চাই এটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হোক, আর এ জন্য সর্বাগ্রে এখানকার দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি বন্ধ করতে হবে।
পরিদর্শন শেষে প্রতিমন্ত্রী শ্রমিক-কর্মচারী ও উপজেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা সভায় যোগ দেন। কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এমএমএ কাদেরের সভাপতিত্বে কেপিএম রেষ্ট হাউজ সভাকক্ষে আয়োজিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ক্যামিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) চেয়ারম্যান মো. হাউয়ুল কাইয়ুম, কাপ্তাই উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মফিজুল হক, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেল, কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অংসুইছাইন চৌধুরী, কেপিএম সিবিএ সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, কেপিএম সিবিএ সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, কাপ্তাই থানা অফিসার ইনচার্জ মো. নাছির উদ্দিনসহ অন্যরা।