ময়মনসিংহে ট্রাকের চাপায় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী তিথি পালের নিহতের ঘটনার প্রতিবাদ এবং চালক ও হেলপারের দৃষ্টামূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্কুলটির শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে গৌরীপুর পাইলট বালিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন করা হয়। এতে প্রধান শিক্ষক এনামুল হকসহ স্কুলটির শতাধিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, চালকদের বেপরোয়া গতির কারণে সড়কে প্রতিদিন মানুষ মারা যাচ্ছে। তবুও তাদের এ বিষয়ে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। এভাবে চলতে পারে না।
বক্তারা বলেন, তিথি পালের ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলা যাবে না। এটা একটি হত্যাকাণ্ড। আর এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত চালক ও হেলপারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
মানববন্ধন শেষে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ১৪ দফা দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারে মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি জমা দেন।
১৪ দফা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- তিথি পালের মৃত্যুর ঘটনায় সঠিক তদন্ত করে হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে চার্জশিট প্রদান, সকল বিদ্যালয়ের সামনে গড়ে ওঠা অবৈধ অটোরিকশা স্ট্যান্ড সরানো ও যাত্রী উঠা-নামা বন্ধ, গৌরীপুর-রামাগোপালপুর সড়কে দূর্গাপুর থেকে আসা বালুবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ, প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে গতিরোধক স্থাপন, সড়ক পরিবহর আইন-২০১৮ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন, বখাটে ছেলেদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো বন্ধ ও ইভটিজিং বন্ধে তৎপরতা বৃদ্ধি, অবৈধ হ্যান্ডট্রলি তৈরির কারখানা বন্ধ, শহীদ হারুন পার্ক থেকে অটোরিকশা স্ট্যান্ড নিরাপদ জায়গায় স্থানান্তর, উত্তর বাজার, পাটবাজার ও শহীদ মঞ্জু সড়কের মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের ব্যবস্থা।
উপজেল নির্বাহী অফিসার সেজুতি ধর বলেন, স্মারকলিপি জেলা প্রশাসক স্যারের কাছে পাঠানো হবে। এরপর স্যার যে নির্দেশনা দিবেন সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, তিথি পাল গৌরীপুর পৌর শহরের মধ্যবাজার মহল্লার রঞ্জন পালের মেয়ে। গত ১৩ জানুয়ারি সকালে কোচিংয়ে যাওয়ার পথে ধানমহলা এলাকায় ট্রাকের চাপায় সে নিহত হয়। এ ঘটনায় তার সহপাঠী রুপা চক্রবর্তী আহত হয়।