আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষকের উন্নতির পাশাপাশি দেশ স্বর্নিভর হয়ে ওঠে। দেশ যত বেশি উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, ততই কৃষিতে আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, ‘এর মাধ্যমে কৃষিতে সফলতা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে। আমরা আজ খাদ্যে সফলতা অর্জন করতে পেরেছি। বাংলাদেশ এখন বিদেশেও খাদ্য রফতানি করছে।’
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) কুমিল্লার লাকসামে নোয়াপাড়া-ছনগাঁও গ্রামে আধুনিক যন্ত্রনির্ভর ও কমিউনিটি ভিত্তিক যৌথ চাষ পদ্ধতির মাধ্যমে কৃষিকে লাভজনক করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) কতৃক গৃহীত ‘কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ ও যৌথ খামার ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, ‘যান্ত্রিকীকরণের চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলা করে আধুনিক চাষ ব্যবস্থা প্রর্বতণের মডেল উদ্ভাবনের লক্ষ্যে এ প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে। এই প্রদ্ধতিতে খণ্ড খণ্ড জমিকে ডিজিটাল ভূমি জরিপের মাধ্যমে আইল উঠিয়ে দিয়ে বৃহদাকার জমিতে বিভিন্ন জাতের ফসলের চাষাবাদ ও শস্য উৎপাদন করা হচ্ছে। আধুনিক এ পদ্ধতিতে কৃষকদের নিয়ে গঠিত একটি সামাজভিত্তিক এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে চাষাবাদ পরিচালনা করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সনাতন পদ্ধতিতে চাষাবাদের ফলে সরকারের সব ধরনের ভর্তুকির পরও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কৃষকরা তাদের পণ্যের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে কৃষির উৎপাদন ব্যয় হ্রাসের উপায় উদ্ভাবন অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছিল। আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার করে যৌথ খামার প্রতিষ্ঠার ফলে কৃষি পণ্যের উৎপাদন খরচ হ্রাস পাবে এবং কৃষি হবে কৃষকের জন্য আরেকটি লাভজনক জীবিকা। আমার বিশ্বাস পরীক্ষামূলক এ প্রকল্পটি একটি উন্নয়ন মডেল হিসাবে দাঁড়াবে এবং কৃষিতে আরেকটি নতুন বিপ্লব সুচিত হবে।’
উপজেলার কান্দিরপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব রেজাউল আহসান, বার্ডের মহাপরিচালক মো. শাহজাহান, কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সুরজিত চন্দ্র দত্ত, লাকসাম উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউনুছ ভুঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান মহব্বত আলীসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক, জনপ্রতিনিধি ও সামাজিক নেতারা।