চান্দিনায় নৈশপ্রহরী হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আটক ৩

কুমিল্লা, দেশের খবর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা | 2023-08-27 10:56:21

কুমিল্লার চান্দিনায় মহাসড়কে নৈশপ্রহরী মো. নাছির উদ্দিনের (২৬) ছিন্নভিন্ন মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার ৫দিন পর অবশেষে হত্যাকাণ্ডের ক্লু খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ৩ জনকে আটকের পর তাদের মধ্য থেকেই প্রকৃত হত্যাকারীকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি বিশেষ টিম গত কয়েক দিনের প্রচেষ্টায় হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে সক্ষম হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে। তবে ঘটনার অধিকতর তদন্ত ও অন্য আসামিদের গ্রেফতারের স্বার্থে হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিবি পুলিশ।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লা জেলা ডিবি পুলিশের অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) আনোয়ারুল আজিম জানান, আমরা হত্যাকাণ্ডের ক্লু খুঁজে পেয়ে রহস্য উদ্ঘাটনের খুব কাছাকাছি চলে এসেছি। তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত জানানো যাচ্ছে না। যেকোনো সময় জেলা পুলিশ সুপার মিডিয়ার কাছে ঘটনার বিস্তারিত প্রকাশ করবেন বলে জানান তিনি।

ডিবি ও পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, হত্যাকাণ্ডের একদিন পর টাকার জন্য নাছিরকে হত্যা করা হয়েছে বলে এলাকায় গুঞ্জন সৃষ্টি হয়। তবে নাছির উদ্দিনকে অর্থের জন্য নয়, হত্যাকারীদের নারী ঘটিত একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। হত্যার পর মরদেহ মহাসড়কে ফেলে রাখা হয়। মহাসড়কের গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে নাছিরের মরদেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে দেড় কিলোমিটার এলাকা জুড়ে।

আরও পড়ুন: চান্দিনায় নৈশ প্রহরীর খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার

ডিবি ও পুলিশের একটি সূত্র জানান, ঘটনার পর রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশের কয়েকটি ইউনিট মাঠে নামে। ইতোমধ্যে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ জনকে আটক করে।

তারা হলেন, চান্দিনার নাওতলা গ্রামের মাদুল মিয়ার ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন, একই গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে আল আমিন ও মজিব মিয়ার ছেলে সোহাগ মিয়া। এদের মধ্যে একজনের তথ্যে হত্যার ক্লু খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রসঙ্গত, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনার নাওতলা এলাকার আলিম মাদরাসা সংলগ্ন একটি মার্কেটে নৈশ প্রহরীর কাজ করতেন নাওতলা গ্রামের রবি উল্লাহ। আর ওই মার্কেটে চা দোকানের ব্যবসা করতেন রবি উল্লাহর ছেলে নাছির উদ্দিন।

রোববার (১২ জানুয়ারি) রাতে রবি উল্লাহ শারীরিক অসুস্থতার কারণে নৈশ প্রহরীর দায়িত্ব পালন করেন তার ছেলে নাছির উদ্দিন। রাতের কোনো এক সময়ে হত্যাকারীরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে মরদেহ মহাসড়কে ফেলে দেয়। রাতে গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে মহাসড়কের দেড় কিলোমিটার জুড়ে মরদেহের বিচ্ছিন্ন অংশ পড়ে থাকে। সকালে দেহের অংশ বিশেষ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর