মেহেরপুর জেলায় এখন ব্যাপকভাবে পেয়ারা বেচাকেনা হচ্ছে। ক্রেতাদের হাতের নাগালে সারা বছরই মিলছে সু-স্বাদু পেয়ারা। রোগীর পথ্য, অতিথি আপ্যায়নসহ পরিবারের খাবার তালিকায় এখন ঠাঁই পাচ্ছে দেশীয় সহজলভ্য এই ফলটি।
মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় ও থাই জাতের পেয়ারার বাগান করে অনেক কৃষক এখন স্বাবলম্বী।
জানা গেছে, স্থানীয় নার্সারিতে এখন সব সময়ই উন্নত ও উচ্চফলনশীল জাতের পেয়ারার চারা পাওয়া যায়। ওই সব গাছে পেয়ারা ধরে সারা বছরই। এতে বছরের সব মাসেই বাজারে পেয়ারার সরবরাহ থাকছে। তাছাড়া দাম নিয়ে ক্রেতা ও কৃষক দুজনই সন্তুষ্ট। তাই পেয়ারা উৎপাদন ও বেচাকেনার খাত প্রশস্ত হচ্ছে।
পেয়ারা ক্রেতা স্থানীয় রাইপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, স্থানীয়ভাবে যে পেয়ারা উৎপাদন হচ্ছে তা স্বাদে অতুলনীয়। বিদেশি কোনো ফলের চেয়ে পেয়ারার স্বাদ কম নয়। তাছাড়া পুষ্টিগুণ পেয়ারাতে অনেক বেশি। এ কারণে তার মতো অনেকেই পরিবারের জন্য পেয়ারা কিনছেন। বর্তমানে প্রতি কেজি পেয়ারা ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গাংনী বাজারের ফল ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিদেশি ফলের পাশাপাশি এখন আমরা পেয়ারাও বিক্রি করছি। খাবারের তালিকায় দেশীয় এই ফলটি জায়গা করে নিচ্ছে।’
পেয়ারার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সাদিয়া সুলতানা জানান, পেয়ারার পুষ্টিগুণ অন্য ফলের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে অনেক বেশি। যেমন আপেলে ৫২ কিলো ক্যালরি রয়েছে আর পেয়ারাতে ৬৮ কিলো ক্যালরি। পেয়ারায় পটাশিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ও ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিনের পরিমাণ আপেলের চেয়ে অনেক বেশি। তাই সুস্থ থাকতে প্রতিদিন একটি পেয়ারা খাওয়া উচিত।
মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. আখতারুজ্জামান জানান, আম ও লিচুতে সমৃদ্ধ মেহেরপুর জেলায় পেয়ারা আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে।