লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের ওপর দিয়ে প্রবাহিত বুড়িখোড়া নদী। এই নদী পারাপারে ব্যবহার করা হয় বাঁশের সাঁকো। ঝুঁকিপূর্ণ এই সাঁকো দিয়ে নীলফামারীর সদর উপজেলার দশ গ্রামের প্রায় ত্রিশ হাজার মানুষ যাতায়াত করে।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইউনিয়নের দুবাছুড়ি মালিপাড়া বটতলী গ্রামের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে এই নদী। নদীর ওপরে স্থাপন করা হয়েছে একটি বাঁশের সাঁকো। লক্ষ্মীচাপ, শিমুলবাড়ী, ধর্মপাল দুবাছুড়ি, দাঁড়িহারা, বালাপুকুর, খেরকাটি, বগুড়াটারী, শেওটগাড়ি গ্রামের কমপক্ষে ত্রিশ হাজার মানুষদের ভরসা এই বাঁশের সাঁকোটি।
স্থানীয়দের পাশাপাশি এই সাঁকো ব্যবহার করে জেলা শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত আসা যাওয়া করে শতাধিক স্কুলশিক্ষার্থী।
ককই বড়গাছা উচ্চ বিদ্যালয়ের জীবন রায় বলেন, অনেক ঝুঁকি নিয়ে সাঁকোটির ওপর দিয়ে আসা যাওয়া করতে হয়। বিশেষ করে বর্ষাকালে নদীতে পানির প্রবাহ বেশি থাকায় সে সময় ভয়ে ভয়ে যাতায়াত করতে হয়।
এই পথে যাতায়াতকারী নকুল রায় জানান, প্রয়োজনের তাগিদে আমরা এই সাঁকোর ওপর দিয়ে অনেক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করি। যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। অনেকে নদীতে পড়ে আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
ককই বড়গাছা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গণপতি রায় বলেন, অনেক কষ্ট করে শিক্ষার্থীরা সাঁকো দিয়ে আসা-যাওয়া করে। মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনারও শিকার হয়ে থাকেন।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান জানান, এই সাঁকোটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। আমি নিজেই ভুক্তভোগী। এখানে ব্রিজ নির্মাণ করা হলে হাজার হাজার মানুষের সুবিধা হবে পাশাপাশি দশ গ্রামের মানুষের জীবনমানের পরিবর্তন ঘটবে।
জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের সদর উপজেলা প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম জানান, সরেজমিনে পরিদর্শন করে এসে ওই স্থানে ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি পিপি পাঠানো হয়েছে তিনমাস আগে। সেটি পাস হলেই নির্মাণ কাজ দ্রুত শুরু করা হবে।