পঞ্চগড়ের উপর দিয়ে হিমালয়ের হিমেল হাওয়া ও মৃদু শৈত্য প্রবাহের কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েই চলছে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, হিমেল হাওয়া ও মৃদু শৈত্য প্রবাহের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঘন কুয়াশা। ফলে সাধারণ মানুষেরা পড়েছে চরম ভোগান্তিতে। সময় মতো কাজে বের হতে পারছে না অনেকেই।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে তাপমাত্রা বৃদ্ধির পেলেও শীতের তীব্রতা হ্রাস পায়নি। মাঝে মাঝে দুপুরের পর কিছুটা সূর্যের আলোর দেখা মিললেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী থাকে না। ফলে বরাবরই শীতের কামড়ে নাজেহাল অবস্থা জেলার ৫ উপজেলার মানুষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কখনও মৃদু শৈত্য প্রবাহ, কখনও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছে এবং কখনও বা ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত হচ্ছে দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। এদিকে শীতের দাপটে জবুথবু জেলার সাধারণ ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। শীত ও কুয়াশার কারণে সময়মতো কাজে যেতে পারছে না অনেকেই। অনেকেই শীত নিবারণের শীতবস্ত্র না থাকায় খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নেওয়ার চেষ্টা করছে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, এ জেলায় শীত সবার আগে নেমে পড়ে যায়। নভেম্বর-ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত শীত স্থায়ী থাকে। তবে ডিসেম্বর-জানুয়ারি দুই মাস শীতের তীব্রতা বেশি থাকে।
এদিকে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সাথে সাথে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ জেলার ৪টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। তাছাড়া এ জেলায় শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় চিকিৎসার জন্য ঠাকুরগাঁওয়ে যাচ্ছেন অনেকেই চিকিৎসা নিতে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম জানান, 'আজ রোববার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস'।