চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে নিরাপত্তা ও প্রয়োজনীয় লাইসেন্সের তোয়াক্কা না করেই মুদি দোকান, কসমেটিকস, ফার্মেসি ও ইলেকট্রিক দোকানে বিক্রি হচ্ছে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার। অনিরাপদ ও অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় এলপিজি গ্যাস বিক্রির ফলে বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার নাচোল, রাজবাড়ি, নেজামপুর, হাটবাকইল, সোনাইচন্ডি, ভোলার মোড়, ধানসুরা, কাজলা বাজার, বিরেন বাজার ও মল্লিকপুর বাজারের মুদিখানা, কসমেটিকস ও ইলেকট্রিক দোকাদাররা গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা করে আসছেন। বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় লাইসেন্স ছাড়াই শুধুমাত্র ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স দিয়েই গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
অভিযোগ রয়েছে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রেতাদের অধিকাংশই গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করার প্রয়োজনীয় লাইসেন্স ও ফায়ার সেফটি ইস্টিংগুইসার নেই। এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অফিসের ডিএডি সাবের আলী প্রামানিক বলেন, এলপিজি (তরলীকৃত) গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা করতে হলে ট্রেড লাইসেন্স, পরিবেশ অধিদফতরের পরিবেশ লাইসেন্স, ফায়ার লাইসেন্সসহ ফায়ার ইস্টিংগুইসার ডিসপ্লে(সংরক্ষণ) করা বাধ্যতামূলক। হোলসেল ডিলারদের ক্ষেত্রে বিস্ফোরক লাইসেন্স এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে নিয়ন্ত্রিত গুদাম ঘর রাখাও বাধ্যতামূলক।
জানতে চাইলে নাচোল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিহা সুলতানা জানান, অবৈধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শিগগিরই অভিযান পরিচালনা করা হবে।