ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মহিলাসহ ১১ ডাকাত সদস্যকে আটক করেছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ। আটককৃত ডাকাতদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রসহ ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস, একটি মোটরসাইকেল এবং লুণ্ঠন করা নগদ টাকা ও অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা পুলিশের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম।
তিনি জানান, রোববার রাতে শাহীন আলম নামে রংপুরের এক ব্যক্তি চট্টগ্রাম যাওয়ার উদ্দেশে চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাবুর্চিবাজার নামক স্থানে গাড়ি জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলযোগে ৩ ডাকাত তাকে আক্রমণ করে।
ডাকাতরা শাহীন আলমের গলায় ছুরি ধরে তার মোবাইল সেট, মানিব্যাগসহ ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় শাহীনের চিৎকারে টহলরত পুলিশ ডাকাতদের ধাওয়া করে জহির হোসেন ও জহিরুল ইসলাম নামের ২ জনকে আটক করে। তারা দুইজনই সদর দক্ষিণ মডেলের দিশাবন্দ গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম আরো জানান, পরবর্তীতে আটককৃত ডাকাতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা পলাতক ডাকাত বুলেটের নাম ঠিকানা ও আত্মগোপনের সম্ভাব্য স্থানের তথ্য দেয়। এরপর চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ কয়েকটি টিমে বিভক্ত হয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে সম্ভাব্য স্থানে তল্লাশি শুরু করে।
এদিকে, বুলেট আগেই দলের অন্য সদস্যদের বিষয়টি জানালে মাইক্রোবাসযোগে বাবুর্চি বাজারে ডাকাত দল ভয়ভীতি দেখাতে থাকে এবং বুলেটকে খুঁজতে থাকে।
এ সময় এলাকাবাসীর সহায়তায় আরও ৯ ডাকাতকে আটক করে পুলিশ। তারা হলেন, সদর দক্ষিণ থানা এলাকার কামরুল হাসান সবুজ, ফেরদৌস হোসেন, কামাল হোসেন, নেয়ামত উল্লাহ, জুয়েল, মনোয়ারা বেগম, চৌদ্দগ্রামের ফাহিম আহম্মদ ও চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের সুমন হাসান।
পুলিশ সুপার আরো জানান, আটককৃত ডাকাতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, দস্যুতা, মাদক ও দ্রুত বিচার আইনসহ একাধিক মামলা রয়েছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিভিন্ন কৌশলে ডাকাতি, ছিনতাই ও দস্যুতা করেছে মর্মে স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।