রাষ্ট্রপতি ও চিফ স্কাউট মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, স্কাউটিং একজন শিক্ষার্থীকে লেখাপড়ার পাশাপাশি সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হাতে কলমে শিক্ষা দেয়। স্কাউটিংকে দেশ সেবা ও মানবিক কল্যাণে কাজে লাগাতে হবে। স্কাউটিংয়ের শিক্ষা ব্যক্তি, পরিবার ও সামাজিক জীবনে প্রতিফলিত করা গেলে জাতীয় উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে গাজীপুরের মৌচাকে জাতীয় স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বাংলাদেশ স্কাউটস আয়োজিত ৯ম জাতীয় কাব ক্যাম্পুরী-২০২০ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি আশা করি ৯ম জাতীয় কাব ক্যাম্পুরীতে অংশগ্রহণকারী স্কাউটরা নিজেদের উন্নয়নের পাশাপাশি পরোপকারি ও স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে গড়ে তুলবে। তাহলেই তারা সমাজের কাজ থেকে আরও ভালোবাসা পাবে এবং অন্যরা তাদের অনুসরণ করে স্কাউটিং এ উৎসাহিত হবে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ২০৩০ অর্জনসহ ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা এসব মহাপরিকল্পনার উদ্দেশ্য। তবে উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে জনগণকে ইতিবাচক, আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় শামিল হতে হবে। স্কাউটিং কার্যক্রমের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আধুনিক, প্রগতিশীল, সৃজনশীল হিসেবে গড়ে তুলতে এবং সমাজকে এগিয়ে নিতে হবে।
বাংলাদেশ স্কাউটস সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশ স্কাউটস এর প্রধান জাতীয় কমিশনার ও ক্যাম্পুরী চিফ ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, ক্যাম্পুরী সাংগঠনিক কমিটির সভাপতি মো. আলমগীর প্রমুখ।
এর আগে রাষ্ট্রপ্রতি অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছলে তাকে স্কাউটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অভ্যর্থনা জানান এবং ক্যাম্পুরী স্কার্ফ, ব্যাজ ও টুপি পরিয়ে দেন। পরে তিনি কৃতি স্কাউটসদের মাঝে প্রেসিডেন্ট’স স্কাউট ও প্রেসিডেন্ট রোভার স্কাউটস অ্যাওয়ার্ড প্রদান এবং ক্যাম্পুরী স্মারক ডাকটিকেট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন।
তিনি বিভিন্ন এলাকা থেকে অংশগ্রহণকারী স্কাউটদের পরিবেশিত মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন এবং ক্যাম্পুরীর উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেহের আফরোজ চুমকি, ইকবাল হোসেন সবুজ, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম, জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার শামসুন্নাহারসহ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।