হয়রানি ও ঘুষ দাবির অভিযোগ এনে কুমিল্লায় বিদ্যুৎ অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন এক গ্রাহক।
মামলার বাদী আবদুল মোতালেব কুমিল্লা নগরীর বিষ্ণপুর পানির ট্যাংকি এলাকার বাসিন্দা। তিনি পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত পরিদর্শক।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এক নং আমলি আদালতের বিচারক ইরফানুল হকের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন তিনি।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন— কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছা বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ অফিসের সাবেক মিটার রিডিংকারী রবিন হোসেন, রিডিং সংরক্ষণকারী জহিরুল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী মো. আহাদ মোল্লা, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ফয়সাল ও বর্তমান রিডিংকারী জোবায়ের ইসলাম।
বাদী পক্ষে মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট এইচ এম আবাদ জানান, মামলার বাদীর বাসায় একটি মিটার ছিল। কিন্তু অতিরিক্ত বিল আসায় তিনি এই বিষয়ে বিদুৎ অফিসে অভিযোগ করেন। পরে বিল কম আসবে বলে তাকে আরেকটি মিটার দেওয়া হয়। এরপর দীর্ঘদিন ধরে তাকে বিলের কাগজ দেওয়া হয়নি। পরে এক সাথে অনেকগুলো বিলের কাগজ দেওয়া হয়। আর নতুন মিটারের নামে টাকা নেন অভিযুক্তরা। দ্বিতীয় মিটার দেওয়ার পরেও বেশি বিল আসে।
এরপর বাদী অফিসে গিয়ে এসব বিষয়ে অভিযোগ জানালে তার নিকট সমস্যা সমাধানে ঘুষ দাবি করা হয়। এসব কাজে আসামিরা সবাই জড়িত ছিলেন। তাই এসব ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচার চেয়ে বাদী মামলা করেছেন বলে জানান তার আইনজীবী।
মামলার বাদী আবদুল মোতালেব বলেন, অভিযুক্তরা প্রতারণার মাধ্যমে মানুষকে অফিসে নিয়ে ঘুষ দাবি করেন। আর ঘুষ ছাড়া মানুষকে কোন সেবাই দিতে চান না তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার অভিযুক্ত কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছা বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ অফিসের সহকারী প্রকৌশলী মো. আহাদ মোল্লা বলেন, ওই ব্যক্তির মিটার নষ্ট হয়ে যাওয়ার একটি বিষয় ছিল। টাকা দাবি করার বিষয়ে আমি জানি না। বিভিন্ন অভিযোগে মিটার রিডিংকারী রবিনকে আগেই বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।