নাম মো. পান্না আলী। বয়স পঞ্চাশ পেরিয়েছে আরও কয়েক বছর আগে। জীবনযুদ্ধে হার না মানা এক পরিশ্রমী মানুষ তিনি। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের বোয়ালদাহ এলাকায় তার বাড়ি। সকাল হলেই ছোট একটা টিনের বাক্স পুরে শনপাপড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পড়েন গ্রামে।
পায়ে হেঁটে এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে ছোটেন পান্না আলী। হাতে থাকা ঘণ্টা বাজিয়ে শিশুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। চাহিদা অনুযায়ী ৫ টাকা অথবা ১০ টাকার শনপাপড়ি কাগজে মুড়িয়ে বিক্রি করেন।
তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন কাঁধে বাক নিয়ে বিভিন্ন গ্রামে সিলভারের হাঁড়িপাতিল বিক্রি করে সংসার চালিয়েছি। এ কারণে কাঁধে অনেক যন্ত্রণা হয়। এখন আর ঠিকমতো চলতে পারি না। তাই অল্প ওজনের একটা টিনের বাক্স নিয়ে বিভিন্ন গ্রামে শনপাপড়ি বিক্রি করেই আমার সংসার চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সারাদিন ঘুরে ২৫০-৩০০ টাকা আয় হয়। স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে কোনো রকমে সংসার চলে।
কোনো সন্তান আছে কিনা জানতে চাইলে আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘দুই ছেলে আছে। তাদের বিয়ে দেয়ার পর আলাদা হয়ে সংসার করছে। তারা এখন আর আমাদের খোঁজ নেয় না।’