ময়মনসিংহের গৌরীপুর ও শম্ভুগঞ্জে পৃথক চারটি ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা তদন্ত করতে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ছয় সদস্যের রেলওয়ে তদন্তকারী দল।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) তদন্তকারী দলের সদস্যরা ময়মনসিংহের গৌরীপুর ও শম্ভুগঞ্জ রেলওয়ে জংশনে এসে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ছয় সদস্যের তদন্তকারী দলের প্রধান হলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বীরেন্দ্র নাথ মজুমদার (আই)। তদন্তকারী দলের অন্য সদস্যরা হলেন- চট্টগ্রাম রেলওয়ের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী তানভিরুল ইসলাম, বিভাগীয় প্রকৌশলী (ওয়ান) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, বিভাগীয় পরিবহন প্রকৌশলী ময়েনুল ইসলাম, বিভাগীয় সংকেত প্রকৌশলী আবু হেনা মোস্তফা আলম, বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী মোঃ রেজাউল করিম।
তদন্তকারী দলের প্রধান বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বীরেন্দ্র নাথ মজুমদার বলেন, আমরা দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ধারণা করা হচ্ছে, দীর্ঘদিনের পুরোনো সিগন্যাল ব্যবস্থার জন্য দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবে সকল বিভাগীয় কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞের মতামতের ভিত্তিতে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করা হবে। যদি কোনো সমস্যা পরিলক্ষিত হয়, তবে তা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত গত পাঁচদিনে ময়মনসিংহে চারটি ট্রেনের বগি ও ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে গত ১৫ জানুয়ারি (বুধবার) রাতে গৌরীপুর রেলওয়ে জংশনের আউটার সিগন্যাল এলাকায় চট্টগ্রামগামী বিজয় এক্সপ্রেসের দুই বগি লাইনচ্যুত হয়। ১৭ জানুয়ারি (শুক্রবার) বিকালে গৌরীপুর রেলওয়ে জংশনে আউটার সিগন্যাল এলাকায় জামালপুরের তারাকান্দিগামী মালবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়। ১৭ জানুয়ারি (শুক্রবার) রাতে মালবাহী ট্রেনের বগি উদ্ধার করতে এসে গৌরীপুর রেলওয়ে জংশনে হাইড্রোলিক টুল ভ্যানের ইঞ্জিন (উদ্ধারকারী ট্রেন) লাইনচ্যুত হয়। ২০ জানুয়ারি সোমবার বিকালে ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় ময়মনসিংহগামী জারিয়া লোকাল ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়।