বঙ্গবন্ধু সেতুতে পৃথক তিনটি দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো বিশজন। বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৭টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব টোলপ্লাজা সংলগ্ন সেতুর ভায়াডাক্টে দুই বাসের সংঘর্ষে একজন এবং দিবাগত রাত ৩টায় ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের কালিহাতী উপজেলার জোকারচর এলাকায় বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে আরও একজন নিহত হয়। এছাড়া সকালে বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর ১৭ নম্বর পিলারের কাছে ঢাকাগামী লেনে দুইটি ট্রাকের সংঘর্ষ বাঁধে।
নিহত হেলপাদের মধ্যে ইমন হোসেন ভূঞাপুর উপজেলার কুকাদাইর গ্রামের শাহাদত হোসেনের ছেলে। তবে অন্যজনের পরিচয় এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। আহতদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল ও সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে পৃথক তিনটি দুর্ঘটনার ফলে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব হতে টাঙ্গাইলের রাবনা বাইপাস পর্যন্ত প্রায় ২৭ কিলোমিটার সড়কে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। তবে দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহনগুলো সরানোর পর সকাল ৯টার দিকে যানবাহন ধীরগতিতে চলাচল করছে।
বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী আয়ুবুর রহমান বলেন, সকাল ৭টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব ভায়াডাক্ট অংশে ঢাকাগামী দুইটি বাসের সংঘর্ষ হয়। এতে একটি বাসের হেলপার নিহত ও আহত হয় দশজন। এছাড়া দিবাগত রাত ৩টার দিকে কালিহাতী উপজেলার জোকারচর এলাকায় বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাসের হেলপার নিহত হয়। ওই দুর্ঘটনায় আহত হয় আরো আটজন। এছাড়া সকালের দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু ওপর ১৭নম্বর পিলারের কাছে দুইটি ট্রাকের সংঘর্ষে দুইজন আহত হয়।
ওসি আরও জানান, দুর্ঘটনার পর পরিবহনগুলো সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে এসব দুর্ঘটনা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ কামাল হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর দুর্ঘটনার ফলে মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মহাসড়কে গাড়ির চাপ কমে গিয়ে ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করছে।