বগুড়ার নন্দীগ্রামে দাদন ব্যবসায়ীদের মারপিটে সাইফুল ইসলাম (৫০) নামে এক স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান ওই শিক্ষক।
নিহত সাইফুল ইসলাম নন্দীগ্রাম উপজেলার পেং হাজারকি গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে এবং পার্শ্ববর্তী দোলছাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে গ্রামের লোকজন হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যার পর সাইফুল ইসলাম বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন তার খোঁজ খবর করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তার কর্মস্থল দোলগাছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকালে তিনি মারা যান।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সাইফুল ইসলামের ছেলে শুভ গ্রামের একাধিক দাদন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১৫-১৬ লাখ টাকা দাদনে নিয়ে পরিশোধ করতে পারছেন না। সাইফুল ইসলামের বেতনের চেক বইও দাদন ব্যবসায়ীদের কাছে রয়েছে। টাকা আদায়ের জন্য দাদন ব্যবসায়ীরা সাইফুল ইসলামকে চাপ দিয়ে আসছিলেন। দাদন ব্যবসায়ীরাই সাইফুল ইসলামকে মারপিট করে হাত-পা বেঁধে স্কুলের বারান্দায় ফেলে রেখে পালিয়ে যান বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
নন্দীগ্রামের বুড়ইল ইউপি চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, সাইফুল ইসলাম সোমবার সন্ধ্যায় দোলগাছি বাজারে যান। সেখান থেকে কে বা কারা তাকে ধরে নিয়ে হাত-পা বেঁধে মারপিট করে ফেলে রেখে যায়।
নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবীর বার্তা২৪.কমকে বলেন, সাইফুল ইসলাম হাসপাতালে মারা গেছেন বলে শুনেছি। তবে কীভাবে মারা গেছেন তা জানা যায়নি। মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।