কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় জুয়ার আসরে সর্বস্বান্ত হচ্ছে অনেক পরিবার।
এসব জুয়ার আসরে (তাস) খেলার বোর্ডগুলোতে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য চলে। যার ফলে জুয়াড়িরা জুয়ার টাকার জোগান দিতে নানা অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। পাশাপাশি পারিবারিক কলহ, বিবাদ ও আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটছে অহরহ।
হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের কাবিলপাড়া, ফারাজীপাড়া সাগর খালি মাঠ, বোয়ালদাহ সেনের মাঠের আশেপাশে, বোয়ালদাহ মাঠ, ফকির পাড়া আলিম উদ্দিনের বাগানে, পুরাতন কুষ্টিয়া সিরাজ শেখের বোরিং, গোপিনাথপুর গোরস্থান, কালিপাড়া স্কুলের খাদে, জহুরুল দোকানদারের বাড়ির পেছনে, পদ্মা নদীর ঘাটে, নীল কুঠির আশেপাশে সহ বিভিন্ন পয়েন্টে সন্ধ্যা থেকে শুরু করে সারা রাতব্যাপী চলে জুয়া (তাস) খেলার মহা উৎসব।
আর এই জুয়া (তাস) খেলার বোর্ড যারা পরিচালনা করে তারা নাকি ঐ এলাকার মানুষদের জিম্মি করে ভয় ভীতি দেখিয়ে এই ধরনের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একজন গৃহবধূ জানান, আমার স্বামী বালির নৌকায় বালি কাটার কাজ করে যে টাকা আয় করে তার থেকে বেশি টাকা দিয়ে জুয়া খেলা করে। বাড়িতে চাল, ডাল, তরকারি না থাকলেও জুয়ার টাকা আগে লাগে তার। জুয়ার টাকা না দিলে আমাকে বেধড়ক মারপিট করে। টাকার অভাবে আমার ছেলেমেয়েদের স্কুলে ঠিকমতো পড়াশোনা করাতে পারি না। আর জুয়ার নেশায় সে মানুষ থেকে অমানুষে পরিণত হয়েছে।
তাই এলাকাবাসীর দাবী যারা এই জুয়ার আসর বসায় (তাস খেলা) বোর্ড যারা চালায় তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠোর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল বার্তা২৪.কম-কে জানান, আমরা মাঝে মাঝে অভিযান চালিয়ে জুয়ার আসর থেকে জুয়াড়িদের আটক করি। কিন্তু তাদের লোকজন স্থান পরিবর্তন করে থাকে।