মাদরাসা থেকে নিখোঁজ হয় দুলাল কাজী নামে এক ছাত্র। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাচ্ছিল না পরিবার। ঠিক তখনি বাবুল মিয়া নামে এক প্রতারক নিখোঁজ দুলালকে জিনের মাধ্যমে উদ্ধার করার কথা বলে তার পরিবারের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। কিন্তু দুলাল উদ্ধার না হওয়ায় এ বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করে পরিবারের সদস্যরা। পরে প্রতারক বাবুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে প্রতারণার এই ঘটনা ঘটেছে। গ্রেফতারকৃত বাবুল উপজেলার মাইজভাগ ইউনিয়নের বাসিন্দা।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ওই প্রতারককে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিখোঁজ ছাত্রের বড় ভাই রিয়াদুল ইসলাম ওই প্রতারকের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে রোববার রাতে তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
জানা গেছে, দুলাল কাজী নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার বাঘাইকান্দি গ্রামের মৃত রুপচান কাজীর ছেলে। সে স্থানীয় হাজীপুর মাদরাসার ছাত্র। গত ১৮ নভেম্বর সে ওই মাদরাসা থেকে নিখোঁজ হয়।
এদিকে ওই এলাকায় বসবাসকারী রিকশাচালক সাদ্দাম হোসেন ৪ ঘণ্টার মধ্যে দুলালকে উদ্ধারের আশা দিয়ে তার পরিবারকে ঈশ্বরগঞ্জের মাইজভাগ এলাকায় প্রতিবন্ধী বাবুল নামে এক কবিরাজের কাছে নিয়ে যায়। ওই কবিরাজ জিনের মাধ্যমে দুলালকে উদ্ধারের কথা বলে ৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় পরিবারের কাছ থেকে। কিন্তু দুলাল উদ্ধার না হওয়ায় পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রতারক বাবুলকে গ্রেফতার করে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাওন চক্রবর্তী জানান, জিজ্ঞাসাবাদে বাবুল কিছু টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।