হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশতাধিক। এ সময় মোটরসাইকেল, আসবাবপত্র ও ১টি দোকান ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় দুই ছাত্রদল কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার সালামতপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় লোকজন জানান, দুপুরে শহরতলীর ছালামতপুর হাজারী কমিউনিটি সেন্টারে নবীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর ছাত্রদলের উদ্যোগে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন- কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ সভাপতি ওমর ফারুক কাওসার। প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুল হক আরিফ ও বিশেষ অতিথি ছিলেন সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জামিল হোসেন ও রায়হান উদ্দিন।
সভা শুরুতেই ছাত্রদল নেতা জহিরুল ইসলাম সোহেলের গ্রুপের নেতাকর্মীরা চেয়ার দখলে নেয়। পরে রায়েছ চৌধুরীর নেতৃত্বে তার গ্রুপের নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছে বসার জায়গা না পেয়ে উত্তেজিত হয়ে উঠে। এ সময় উভয় গ্রুপের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।
কেন্দ্রীয় নেতারা অনুষ্ঠানে আসলে তাদের সামনেই উভয়পক্ষ মারামারি শুরু করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এসময় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কমপক্ষে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।
আহতদের মধ্যে জুলন মিয়া (২৩), পাবেল মিয়া (২৭), শরীফুল ইসলাম জুনেদ (২৮), সাইফুর রহমান বাবু (২৩), মুছন মিয়া (২৫) ও মহিম উদ্দিনের (৭২) অবস্থা আশংকাজনক।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ছাত্রদলের কর্মী সভায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে শরীফ আহমেদ আবিদ ও জুয়েল মিয়া নামের দুইজনকে আটক করা হয়। এছাড়াও সাতটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।