চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মার ধূ-ধূ বালুচরে এবার সূর্যমুখী ফুলের বাম্পার ফলন হয়েছে। তা দেখে সূর্যমুখী ফুলের সঙ্গে কৃষকের মুখেও হাসি ফুটেছে।
জেলায় এবারই প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে সূর্যমুখী চাষ করে সফল হয়েছে কৃষি বিভাগ। শিবগঞ্জ উপজেলার ছত্রাজিতপুর ইউনিয়নের কমলাকান্তপুর এলাকার পদ্মার চরে মোট ছয় বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের বীজ বপন করা হয়। স্থানীয় কৃষক আবু সুফিয়ান ও আবদুর রাকিব উপজেলা কৃষি দফতর হতে বীজ সংগ্রহ করে সূর্যমুখী চাষ করেন।
কৃষক আবদুর রাকিব জানান, পদ্মার চরের জমিতে মূলত মাষকলাই, সরিষা ও ধান চাষ করা হয়। তাতে ভালো ফলন না হওয়ায় শরণাপন্ন হন শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে। তাদের পরামর্শে বিনামূল্যে ৬ কেজি বীজ নিয়ে ৩ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেন।
তিনি বলেন, আমাকে পানি ছাড়া জমিতে তেমন কিছুই খরচ করতে হয়নি। বীজ ও সার কৃষিবিভাগ বিনামূল্যে সরবরাহ করেছে। তাতে ফুলের বাম্পার ফলন হয়েছে। আশা করা হচ্ছে প্রতি বিঘা জমিতে ৯/১০ মণ বীজ পাওয়া যাবে। ওই বীজ মণ প্রতি সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা দরে কিনে নিবে কৃষিবিভাগ। ফলে ভালো দাম পাওয়ায় সামনের মৌসুমে বেশি করে সূর্যমুখী চাষ করার কথা ভাবছেন এই কৃষক।
তার মতো আবু সুফিয়ান একইভাবে ৩ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুল চাষ করেছেন। তারও ফলন ভালো হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে অন্য ফসলের চাইতে বেশি আয় করবেন বলে জানান তিনি। তাদের সূর্যমুখী ফুল চাষ দেখে এই ফসলে আগ্রহ বাড়ছে পদ্মার চরের অন্য কৃষকদের।
ছত্রাজিতপুর ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন,পরীক্ষামূলকভাবে পদ্মার চরে এই প্রথম সূর্যমুখী চাষ করে আমরা সফল হয়েছি। সার্বক্ষণিক মাঠ পরিদর্শনের পাশাপাশি পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এসএম আমিনুজ্জামান বলেন, পদ্মার বুকে সূর্যমুখী চাষ হবে এটা কেউ আগে ভাবতেও পারেনি। আমরা পরীক্ষামূলকভাবে সূর্যমুখী চাষ করে সফলতা দেখতে পাচ্ছি। এতে করে কৃষকরা লাভবান হবেন। এই ফুলের সঙ্গে চাষ হচ্ছে মধু। এতে করে কৃষক আরও বেশি লাভবান হচ্ছে। কৃষকদের উৎপাদিত সূর্যমুখী বীজ আমরা কিনে অন্য কৃষকদের মাঝে বিতরণ করবো।