মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দড়গ্রাম ইউনিয়নের সাফুল্লি গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ২ টন ওজনের ষাঁড় (সিনবাদ) অবশেষ বিক্রি করা হবে কেজি দরে। আগামী শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সিনবাদকে বিক্রয় করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন মালিক বিল্লাল হোসেন।
গত দুই বছরের ঈদুল আযহায় কোরবানির হাটে বিক্রির উপযোগী করলেও উপযুক্ত দাম না পাওয়ায় অবিক্রিত রয়ে যায় সিনবাদ নামের ষাঁড়টি। ২০১৯ সালের কোরবানি হাটের সময় ষাঁড়টির ওজন ছিল ৫৪ মণ। এই সিনবাদই দেশের সবচেয়ে বেশি ওজনের ষাঁড় ছিল বলে জানিয়েছিল সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস।
সিনবাদের মালিক বিল্লাল হোসেন বলেন, সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে পরম যত্নে লালন পালন করেছিলাম এ ষাঁড়টিকে। কাঁচা ঘাস, গমের ভুসি, শুকনো খড়, ভুট্টা, ধান ও গম ভাঙা, ছোলা, চিড়া, আখের গুড়, মালটা, কলা, পেয়ারা, মিষ্টি লাউ, নালী খাওয়ানো হত। কিন্তু গেল বছর ঈদে বিক্রি না করতে পেরে লোকসানে পড়ে খাবার কমিয়ে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ঈদুল আযহার আগে সিনবাদের ওজন ছিল ৪০ মণ। বাড়ি থেকে প্রচুর ক্রেতা আসলেও উপযুক্ত দাম না পাওয়াতে বিক্রি করিনি। গেল ২০১৯ সালের ঈদের হাটে ওজন ছিল ৫৪ মণ। কিন্তু হাজার হাজার ক্রেতাদের ফোন পেলেও বিক্রি করতে পারিনি সিনবাদকে।
দড়গ্রাম ইউনিয়নের সাফুল্লি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে সকাল ৭ টার দিকে সিনবাদকে জবাই করা হবে। পুরো মাংস ১০৫টি ভাগে ভাগ করে বিক্রয় করা হবে। যারা মাংস কিনবেন তাদের জন্য সকালে খাসির কাচ্চি দিয়ে আপ্যায়ন করা হবে।
সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের ভেটেনারি সার্জন ডা. মো. সেলিম জাহান বার্তা২৪.কম-কে জানান, সিনবাদ ষাঁড়টি হলিস্টিন ফ্রিজিয়ান জাতের, ইদুল আযহার সময় উচ্চতা ছিল ৬ ফুট ৭ ইঞ্চি, দাঁত রয়েছে ৪ টি, বয়স ৪ বছর ৭ মাস। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে লালন পালন করা হয়েছে ষাঁড়টি। আমরা ধারণা করছি ৫৪ মন ওজনের ষাঁড়টি বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ওজনের ষাঁড়।