মৌলভীবাজার শহরের জুতার দোকানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন ও পৌরসভা।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও প্রতিকারের সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন জানান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া সুলতানার নেতৃত্বে জেলা প্রশাসকের তদন্ত কমিটির অন্যান্যরা হলেন— পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জিয়াউর রহমান, পিডিবির প্রতিনিধি, পল্লী বিদুৎ সমিতির প্রতিনিধি, পৌরসভার প্রতিনিধি কাউন্সিলার মনবির রায় মনজু, মৌলভীবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্টিজের প্রতিনিধি, বিজনেস ফোরামের প্রতিনিধি। এই কমিটি চাইলে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডার প্রতিনিধি সংযোজন করতে পারবে।
তিনি বলেন, কারণ উদঘাটন করে এই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে পরবর্তীতে এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে, সেই ব্যবস্থা নেব।
মৌলভীবাজার পৌরসভাও অপর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। মেয়র মো. ফজলুর রহমান জানান, পৌরসভার মেয়র কমিটির আহ্বায়ক হলেন কাউন্সিলার জালাল আহমদ। কমিটির সদস্যরা হলেন— কাউন্সিলার ফয়ছল আহমদ, কাউন্সিলার স্বাগত কিশোর দাস চৌধুরী, পৌরসভার সচিব, মৌলভীবাজার চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজের প্রতিনিধি, বিজনেস ফোরামের প্রতিনিধি ও পৌরসভার বিদ্যুৎ শাখার প্রতিনিধিসহ অন্যান্যরা।
এ ঘটনায় পুলিশের সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি কামরুল আহসান পিপিএম (বার) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এছাড়াও জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন, পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ, পৌরসভার মেয়র মো. ফজলুর রহমান, চেম্বার সভাপতি মো. কামাল হোসেন, বিজনেস ফোরামের সভাপতি নুরুল ইসলাম কামরানসহ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ১০টার দিকে শহরের এম সাইফুর রহমান রোডের পিংকি শ্যু স্টোরে গ্যাসের লাইন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন নিশ্চিত করেন।
এ সময় দোকানের উপরের বাসার সবাই আটকা পড়েন। আটকে পড়াদের মধ্যে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস। তারা একই পরিবারের সদস্য। এর মধ্যে এক শিশুও রয়েছে।
নিহতরা হলো- সুভাষ রায় (৬০), তার মেয়ে পিয়া রায় (১৪), তার ভাই প্রণয় রায়ের স্ত্রী দীপ্তি রায় (৪৫), সজল রায়ের স্ত্রী দীপা রায় (৩৫) ও দুই বছর আট মাসের শিশু বৈশাখী রায়।
আহত সুভাষ রায়ের ভাই মনা রায় (৪৫) একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।