নাটোরের বাগাতিপাড়ায় পুকুরের পানি থেকে আড়াই মাসের শিশুকন্যার মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় শিশুটির মায়ের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন তার বাবা আবদুর রহমান তুষার।
মামলায় সন্তানকে হত্যার পর পুকুরের পানিতে লাশ ফেলে দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। লাশ উদ্ধারের তিনদিন পর মামলার প্রেক্ষিতে মা তারাবী ইয়াসমিন তারিনকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে বাগাতিপাড়া মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন শিশুটির বাবা আব্দুর রহমান তুষার।
বাগাতিপাড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মতিন তারিনকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, পুকুরের পানিতে শিশুর ভাসমান মরদেহের খবর পেয়ে শনিবার শিশু টিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরদিন রোববার নাটোর আধুনিক হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে শিশুটির বাবা আব্দুর রহমান তুষারের হাতে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
মাত্র আড়াই মাসের অবুঝ শিশুর মরদেহ পুকুরের পানিতে পাওয়ায় সন্দেহ থেকে ঘটনার দিন শনিবার থেকে শিশুটির মাকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে মামলা দায়েরের পর শিশুটির মাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলায় আব্দুর রহমান তুষার জানান, ১৫ মাস আগে তারাবী ইয়াসমিন তারিনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। স্ত্রীর ইচ্ছায় খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সন্তান নেন তারা। সন্তানকে ঘিরে দু’জনের মধ্যে প্রায়ই মনোমালিন্য হতো। ঘটনার দিন শনিবার সকালে স্ত্রী-সন্তানকে শ্বশুর বাড়ি বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগরের বজরাপুরে রেখে তুষার নিজের বাড়িতে যান। তুষারের বাড়ি রাজশাহীর বেলপুকুরিয়ার জামিরা গ্রামে।
পরে ওইদিন বিকেলে পুকুরের পানি থেকে ভাসমান অবস্থায় তার ২ মাস ১৭ দিন বয়সের মেয়ে তানজিমা আক্তার টিয়া’র মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান আব্দুর রহমান তুষার। তিনি অভিযোগ করেন, তার স্ত্রী তারাবী ইয়াসমিন তারিন নিজের সন্তানকে হত্যা করে লাশ পুকুরের ফেলে দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বাগাতিপাড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মতিন বলেন, মামলার পর অভিযুক্ত তারাবী ইয়াসমিন তারিনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তবে জিজ্ঞাসাবাদে কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে কিনা জানতে চাইলে তদন্তের স্বার্থে ওসি তা প্রকাশ করতে রাজি হননি।