হিন্দু ধর্ম মতে দুর্গার মেয়ে সরস্বতী। আর বিদ্যাদেবী হিসেবে সরস্বতী তাদের কাছে বিশেষভাবে পূজনীয়। তাই মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে, সাদা রাজহাঁসে চড়ে, জ্ঞানের দেবী আসেন ধরায়। এই দিনে জ্ঞান বৃদ্ধির আশায়, উপবাস থেকে দেবীর নামে অঞ্জলি দিয়ে বিশেষ প্রার্থনা করেন ভক্তরা। বিদ্যার দেবী সরস্বতী হওয়ায় দেবীর আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীরাই এই পূজায় বেশি আগ্রহী হয়।
শেষ মুহূর্তে রং তুলির আঁচড়ে ব্যস্ত সময় পার করছে প্রতিমা শিল্পীরা। মন্দিরে মন্দিরে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, ক্লাব-সংগঠন ও বাসা-বাড়িতে এবারও পূজার প্রস্তুতি চলছে। পূজার আগে প্রতিমা সরবরাহ করতে হবে, তাই প্রতিমা রাঙাতে ও সাজানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন যশোরের প্রতিমা শিল্পীরা। আর বিদ্যার দেবী সরস্বতীর পূজা করে বিদ্যা পেতে শিক্ষার্থীরা অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে যশোর বেজপাড়া পূজা মন্দিরের কারিগর জয়দেব পাল বার্তা২৪.কমকে জানান, অন্য বছরের তুলনায় এ বছর প্রতিমার চাহিদা বেশি। এ কারণে বিভিন্ন রকমের ডিজাইনের প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে। তবে উপকরণের দাম বাড়ায় এই পেশায় তাদের বেশি লাভ হচ্ছে না। তাই এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারের সাহায্য ও নজরদারি বাড়ানোর কথা বলেন তারা। যশোরে আকার ও প্রকারভেদে এক একটি প্রতিমা হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে প্রতিমা কিনতে আসা দেবাশীয় কুমার জানান, প্রতিবারই কলেজে সরস্বতী পূজা হয়। তাই প্রতিমা কিনতে এসেছি।
বেজপাড়া এলাকার প্রতিমা কারিগর শংকর জানান, প্রায় দুইমাস আগে থেকে প্রতিমা বানানোর কাজ শুরু করেছি। মাটির কাজ একেবারেই শেষ। কিছু কিছু প্রতিমার গায়ে রংয়ের কাজ বাকি। আবার কিছু প্রতিমাকে কাপড় পরিয়ে নতুন সাজে সাজানো হচ্ছে।
জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অসীম কুন্ড জানান, বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজা উপলক্ষে যশোর জেলায় সকল মণ্ডপ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে বাড়িতে এই পূজা উদযাপন করা হবে। ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।