মিয়ানমার থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে এখনো আসছে পেঁয়াজ। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সারাদিনে মিয়ানমার থেকে স্থলবন্দরে এসেছে ১৩৮৯ দশমিক ৯৫৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ।
এর আগের দিন এসেছে ৫২৩ দশমিক ৫০৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ। তবে আগের তুলনায় আবারও পেঁয়াজ আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের চাহিদা অনুযায়ী ব্যবসায়ীরা মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছেন। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে পেঁয়াজ আমদানি বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে এখনো আসছে পেঁয়াজ।
বুধবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা মো: আবছার উদ্দিন বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে এ স্থলবন্দরে প্রায় ১৩৮৯ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। তবে মিয়ানমার থেকে আরও পেঁয়াজ ভর্তি ট্রলার আসার পথে রয়েছে। আমদানিকৃত পেঁয়াজ ট্রাকে করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়েছে।
শুল্ক বিভাগ জানায়, (১-২৯ জানুয়ারি) বুধবার পর্যন্ত ২৯ দিনে মিয়ানমার থেকে ১৪ হাজার ৪৫২ দশমিক ৮৪ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসেছে। তার মধ্যে বুধবার ১২ ব্যবসায়ীর কাছে আসা ১৩৮৯ দশমিক ৯৫৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ খালাস হয়েছে। এর আগের দিন ৫২৩ দশমিক ৫০৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসেছিল। এছাড়া গত বছরের ডিসেম্বরে ১৪ হাজার ৬৪৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। নভেম্বরে ২১ হাজার ৫৬০ মেট্রিক টন, অক্টোবরে ২০ হাজার ৮৪৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। এছাড়া সেপ্টেম্বরে ৩ হাজার ৫৭৩ মেট্রিক টন এবং আগস্ট মাসে ৮৪ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়।
টেকনাফ স্থলবন্দর ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট ব্যবস্থাপক মো: জসিম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, মিয়ানমার থেকে এখনো বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি করছে ব্যবসায়ীরা। আমদানিকৃত পেঁয়াজ সমূহ দ্রুত সময়ে খালাস করে সরবরাহ করা হয়েছে।