করোনা ভাইরাস নিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
মূলত চীনের সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্ত রয়েছে। ওই সীমান্ত দিয়ে চীনের পণ্য সরাসরি মিয়ানমার আসে। এসব পণ্য মিয়ানমার হয়ে বাণিজ্যিকভাবে বাংলাদেশে ঢুকছে। এসব পণ্যের ট্রলারে আসছে মিয়ানমারের মাঝি ও নাগরিকরা। এ কারণে টেকনাফ স্থলবন্দর ও করিডোরে মিয়ানমার থেকে আসা পণ্য ও পশু বোঝাই জাহাজ, ট্রলারের মাঝি, নাগরিকদের যাতায়াতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
তবে স্থলবন্দর ও করিডোরে আসা মিয়ানমার নাগরিকদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল বলেন, ‘করোনা ভাইরাস ঠেকাতে গত সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠি পেয়েছি। এ নিয়ে জরুরি মেডিকেল টিমও গঠন করা হয়েছে। এই ভাইরাস শনাক্তে বন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠানো হয়। এই মেডিকেল টিমকে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এই টিমে মেডিকেল অফিসার, উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার, নার্স ও ব্রাদার থাকবেন। তবে স্থলবন্দর ও করিডোরে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি ও কাশির মতো সন্দেহজনক লক্ষণ দেখা দিলে হাসপাতালকে অবগত করতে বলা হয়েছে।’
টেকনাফ স্থলবন্দর ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট ব্যবস্থাপক মো. জসীম উদ্দীন চৌধুরী জানান, করোনা ভাইরাস নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় বন্দরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্দরে মেডিকেল টিমের ব্যবস্থা রয়েছে। বর্তমানে বন্দরে ২০টির মতো মিয়ানমারের ট্রলার নোঙরে রয়েছে। এসব ট্রলারে অর্ধশতাধিক মিয়ানমারের নাগরিক রয়েছে। তবে মিয়ানমার থেকে আসা নাগরিকদের ট্রলার থেকে বাইরে যাওয়ার কোনো ধরনের সুযোগ নেই। এসব নাগরিকরা যেন দেশের অভ্যন্তরে ঢুকতে না পারে সে ব্যাপারে বাড়তি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাস বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়লেও মিয়ানমারে এখনো সংক্রমণের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।