গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে অনেকেই নিজেকে তুলে ধরছেন সাধারণ মানুষের মাঝে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনী তৎপরতা শুরু করেছেন। অনেকে মাঠপর্যায়ে কর্মীদের সংগঠিত করতে শুরু করেছেন। নির্বাচনের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও সরব সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ থেকে ২১ জন, বিএনপি থেকে ৪ জন, জাতীয় পার্টি থেকে ৩ জন ও জাসদ থেকে একজনের নাম শোনা যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- কৃষক লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি (সংরক্ষিত) অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি, সদ্য প্রয়াত এমপি ইউনুস আলী সরকারের ছেলে ড. ফয়সাল ইউনুস, পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু বকর প্রধান, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ।
উপজেলা আওয়ামী লীগ সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি তোফাজ্জল হোসেন সরকার, সাদুল্লাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাহারিয়ার খাঁন বিপ্লব, পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ সামিকুল ইসলাম লিপন।
গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা মাজেদার রহমান দুলু, জেলা আওয়ামী লীগ প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট জরিদুল হক, জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য ডা. মাহাবুব আলম, পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম মন্ডল, আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) মাহমুদুল হক, গাইবান্ধা বঙ্গবন্ধু জেলা পরিষদ উপদেষ্টা ও ঢাকা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ডা. শাহ মো. ইয়াকুব উল আজাদ।
পলাশবাড়ীর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ফজলুল করিম, সাদুল্লাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাবেক নেতা ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ ওয়াহেদ মিয়া, সাদুল্লাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ও গাইবান্ধা জেলা পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ এমএস রহমান।
সাদুল্লাপুর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রেহেনা বেগম, পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগ সাবেক সভাপতি মরহুম খন্দকার মতলুবর রহমান নান্নুর মেয়ে খন্দকার তামান্না শারমিন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও দড়ি জামালপুর রোকেয়া সামাদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আজিজার রহমান বিএসসি, বিশিষ্ঠ শিল্পপতি মফিজুল হক সরকার ও গোপাল চন্দ্র বর্মন।
বিএনপি থেকে গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যপক ডা. মইনুল হাসান সাদিক, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা সদস্য রফিকুল ইসলাম রফিক, জেলা বিএনপির সদস্য ড. মিজানুর রহমান মাসুম ও সাদুল্লাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম স্বপন।
জাতীয় পার্টি (এরশাদ) থেকে ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার শিল্পী, জাতীয় যুব সংহতি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল হক সাচ্ছা ও সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত ড. টিআইএম ফজলে রাব্বী চৌধুরীর ছেলে মইনুর রাব্বী চৌধুরী রুমান।
জাসদ (ইনু) থেকে সাদুল্লাপুর উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদির নাম শোনা যাচ্ছে।
গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান বার্তা২৪.কমকে জানান, গাইবান্ধা-৩ আসনটির উপনির্বাচন বিষয়ে এখনো তফসিল ঘোষণা করা হয়নি।
উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ী) আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. ইউনুস আলী সরকার। গত বছর ২৭ ডিসেম্বর মারা যান তিন। ফলে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়।