দেশ ও দেশের বাইরের যাত্রীদের মাধ্যমে ভাইরাস প্রবেশ প্রতিরোধে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে নাম মাত্র। সাংবাদিক দেখলেই শুরু করেন পরীক্ষা। শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয়ে ৫ বছর আগে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে স্থাপিত থার্মাল স্ক্যানার মেশিনটি প্রায় ৬ মাস ধরে অচল হয়ে পড়ে থাকায় হ্যান্ড থার্মাল স্ক্যানারে যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। এতে ভয়ানক এই করোনা ভাইরাসটি যাত্রীদের মাধ্যমে দেশে সংক্রমণের যথেষ্ট ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে ইমিগ্রেশন ভবন ঘুরে দেখা যায়, সেখানে স্বাস্থ্য কর্মী তিনজন থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন একজন। তাও তিনি অফিসে বসে আছেন, স্বাস্থ্য পরীক্ষা কেন্দ্রের চেয়ার, টেবিল খালি পড়ে আছে।
যাত্রীরা বলেন, নাম মাত্র ইমিগ্রেশনে মাঝে মধ্যে হ্যান্ড থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য কর্মীদের সংখ্যাও কম। নষ্ট হয়ে পড়ে আছে থার্মাল স্ক্যানার মেশিনটি। এতে ভয়াবহ ভাইরাসটি সংক্রমণের ঝুঁকি থাকছে।
ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মরত সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আব্দুল মজিদ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ইমিগ্রেশনে থার্মাল স্ক্যানার মেশিনটি মেরামতের জন্য তারা অনেক আগেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত ঠিক হয়নি। মেশিনটি সচল থাকলে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় কোনো ঝুঁকি থাকতো না। স্বাস্থ্য কর্মীরা সবাই অফিসে নাই কেন জানতে চাইলে বলেন, তারা কিছুক্ষণের মধ্যে চলে আসবে।
উল্লেখ্য, ভ্রমণ, চিকিৎসা ও বাণিজ্যিক কাজে বেনাপোল ইমিগ্রেশন হয়ে প্রতিদিন ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করে থাকে। এসব যাত্রীদের মধ্যে ১২ শতাংশ রয়েছে বিদেশি যাত্রী। তাই এ সীমান্তে ভাইরাসটি সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি রয়েছে।