লক্ষ্মীপুরে দলীয় কোন্দলের জের ধরে ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মীকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জের পাঁচপাড়া তুলাতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ৩ জনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আহতরা হলেন- চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী আবদুল্লাহ আল নোমান, ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মো. ফাহাদ, ছাত্রলীগ কর্মী ইয়াছিন, মোরশেদ, রায়হান ও সাকিব।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, রোববার রাতে ঘটনাস্থলে একটি চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা নোমান ও তার সহকর্মীরা।
এসময় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ১৫-২০ জনের একটি দল তাদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এসময় তারা নোমানসহ অন্যদের এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে দলীয় কোন্দলের জের ধরে ঘটনাটি ঘটতে পারে বলে স্থানীয়দের ধারণা।
তবে আহত ছাত্রলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান অভিযোগ করে জানান, কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি এম মাসুদের নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। হামলাকারীরা চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক কাজু মামুনুর রশিদ বাবলুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
অভিযোগ অস্বীকার করে কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি এম মাসুদ বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। এর সঙ্গে আমি কিংবা আমার কোনো নেতাকর্মী জড়িত নয়। তবে খেলা নিয়ে সমস্যা থেকে ঘটনাটি ঘটেছে বলে শুনেছি।
জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেতা কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু জানান, একটি টুর্নামেন্টে খেলা নিয়ে সমস্যা হয়েছিল বলে শুনেছি। পরে দু’দলের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে রাজনৈতিক কোনো সম্পর্ক নেই।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীম উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তবে কাউকে আটক করা যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।