ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে চলমান দাখিল পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের এমসিকিউর উত্তর সরবরাহ করার দায়ে ৫ শিক্ষকের প্রত্যেককে দুই বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাদরাসা কেন্দ্রে তাদের জেল জরিমানা করা হয়। আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজিমুল হায়দার এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- উপজেলার চরচারতলা ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার সহকারী সুপার মো. মাজহারুল ইসলাম (৪২) একই মাদরাসার সহকারী শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম (৩৫), খোলাপাড়া ওমেদ আলী শাহ দাখিল মাদরাসার সহকারী সুপার মো. মহিউদ্দিন (৩৮), তালশহর করিমিয়া ফাজিল মাদরাসার প্রভাষক কবির হোসেন (৪০) ও সরাইল উপজেলার পানিস্বর মাদেনিয়া গাউছিয়া দাখিল মাদরাসার সহকারী সুপার আব্বাস আলী (৫০)।
মোবাইল কোর্ট সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে দাখিলের কোরআন মাজিদ ও তাজিভিদ পরীক্ষা শুরু হয়। আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাদরাসা কেন্দ্রে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর কেন্দ্র সচিবের পাশের রুমে দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ জন মিলে এই পরীক্ষার এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর লিখছিলেন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজিমুল হায়দার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। পরে কেন্দ্র সচিবের পাশের রুমে যেতেই এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর লিখাবস্থায় তাদের দেখে ফেলেন।
আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজিমুল হায়দার জানান, পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইনের ১৯৮০ এর ধারা ৯ (ক) মোতাবেক প্রত্যেককে দুই বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরীক্ষা কেন্দ্রে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।