টেকনাফে ইয়াবা কারবারিদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাননি উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি ও বর্তমান সংসদ সদস্য বদির সহধর্মিণী শাহিন আক্তার। এ অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য শাহিন আক্তার ও তার স্বামী বদি না থাকা নিয়ে এলাকায় চলছে নানান আলোচনা-সমালোচনা।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে টেকনাফ ডিগ্রি কলেজ মাঠে এ আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কমিউনিটি পুলিশ। বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে আলোচিত আবদুর রহমান বদি আমন্ত্রণ পাননি বলে জানা গেছে। একই সঙ্গে তার স্ত্রী হওয়ায় আমন্ত্রণ পাননি বর্তমান সংসদ সদস্য শাহিন আক্তার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় ইয়াবা কারবারিদের আত্মসমর্পণের প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন আবদুর রহমান বদি। কারণ বিভিন্ন সভা সমাবেশ ও মাইকিং করে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আলটিমেটাম দিয়ে আত্মসমর্পণে বাধ্য করেছিলেন ওই সময়। তখন বদির আহ্বানে সাড়া দিয়ে তার নিকটাত্মীয়সহ অনেকে আত্মসমর্পণের জন্য প্রায় একমাস আগে পুলিশি হেফাজতে চলে যান। বিতর্কের কারণে ওই আত্মসমর্পণে আমন্ত্রণ পাননি তিনি।
পুলিশের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর করা বিভিন্ন তালিকায় মাদক ব্যবসায়ীদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে চিহ্নিত বদি। এছাড়াও ব্যবসায়ীদের তালিকায় সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির আপন ভাইসহ তার পরিবারের অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন নিকটাত্মীয় রয়েছেন। তাছাড়া দীর্ঘদিন ধরে মাদকের বিষয় এলেই আলোচিত-সমালোচিত বদির নামও চলে আসে। তাই এবার বদি ও তার স্ত্রী আমন্ত্রণ পাননি বলে জানা গেছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার জেলা কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি তোফায়েল আহমেদ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি তালিকাভুক্ত একজন ইয়াবা ব্যবসায়ী। তাকে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর প্রশ্নই উঠে না। যেহেতু বর্তমান সংসদ সদস্য শাহিন আক্তার তার স্ত্রী। তাই তাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
উল্লেখ্য যে, গত ২০১৮ সালের ৪ মে দেশব্যাপী মাদক বিরোধী অভিযান শুরু হয়। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কক্সবাজারে নিহত হয়েছে ২১১ জন। তাদের মধ্যে দুই নারীসহ ৬২ জন রোহিঙ্গা রয়েছে।