সিরাজগঞ্জে ছাত্রলীগের সভা করাকে কেন্দ্র করে একই দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও মারপিটের ঘটনায় অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে সিরাজগঞ্জ থানা পুলিশ।
সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক শুভ আহম্মেদ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মানিক মাহমুদের অবস্থা গুরুতর।
এই দুজনের স্বজনদের পক্ষ থেকে থানায় পৃথক ২টি মামলায় ৭১ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার আসামি সবাই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মী। ইতোমধ্যে একটি মামলায় ৭ জনকে গ্রেফতারের পর কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
গ্রেফতার আসামিরা হলেন- শহরের খান সাহেবের মাঠ এলাকার ময়েজ উদ্দিনের ছেলে সুমন (২৮), একই এলাকার আবু সাইদের ছেলে শরিফ (২২), দত্তবাড়ি মহল্লার আব্দুল গণির ছেলে রনি সেখ (২২), একই এলাকার সালাম সেখের ছেলে আলহাজ সেখ (২৫) ও সয়াগোবিন্দ মহল্লার দিলজুর রহমানের ছেলে সুমন (২৫)।
এ মামলায় অপর আসামিরা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর সেলিম আহম্মেদ, উপ-প্রচার সম্পাদক নাসিমুর রহমান নাসিম, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সুলতান মাহমুদ, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ বিন আহম্মেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকিরুল ইসলাম লিমন, সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান সোহেল, কালিয়া হরিপুর ইউপির সদস্য কান্দাপাড়ার মো. রেজা, সাবেক পৌর কাউন্সিলর ধানবান্দি মহল্লার আব্দুস সাত্তার, যুবলীগ নেতা দত্তবাড়ি মহল্লার মুছা সেখ ও মো. হোসেন।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর এস. আই তরিকুল ইসলাম জানান, ছাত্রলীগ নেতা শুভ আহম্মেদকে মারপিটের ঘটনায় আহতের বড় ভাই জানপুর মহল্লার বকুল আহম্মেদ বাদী হয়ে ২ ফ্রেরুয়ারি রাতে ৫১ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে আটক ৭ জনকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সোমবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।