মিয়ানমার থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বেড়েছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বন্দরে এসেছে ১ হাজার ৫৫১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ। এর আগের দিন ১ হাজার ৩৯৭ দশমিক ৮৩০ মেট্রিক টন। দেশের চাহিদা অনুযায়ী ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ আমদানি করছেন বলে জানিয়েছেন।
সোমবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা মো: আবছার উদ্দিন বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে এ স্থলবন্দরে আজ ১ হাজার ৫৫১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এবং আরও পেঁয়াজ ভর্তি ট্রলার আসার পথে রয়েছে। এসব পেঁয়াজ ১৫ জন ব্যবসায়ী আমদানি করেছেন। দেশের চাহিদার কারণে পেঁয়াজ আমদানি বাড়ছে। আমদানিকৃত পেঁয়াজ দ্রুত সময়ে সরবরাহ করা হয়েছে।
শুল্ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমার থেকে আগের তুলনায় পেঁয়াজ আমদানি বেড়েছে। চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের তিন দিনে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ এসেছে ৩৯১৩ দশমিক ৮৯৫ মেট্রিক টন। জানুয়ারি মাসে আসে ১৫ হাজার ৭৬৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ, ডিসেম্বরে ১৪ হাজার ৬৪৭ মেট্রিক টন, নভেম্বর মাসে ২১ হাজার ৫৬০ মেট্রিক টন, অক্টোবরে আসে ২০ হাজার ৮৪৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ। এছাড়া সেপ্টেম্বর মাসে ৩৫৭৩ মেট্রিক টন এবং আগস্ট মাসে ৮৪ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়।
তবে চলতি অর্থ বছরে মিয়ানমার থেকে সোমবার পযর্ন্ত পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ৮০ হাজার ৩৮৬ মেট্রিক টন।
ব্যবসায়ীরা জানায়, দেশের চাহিদার কারণে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি বাড়ছে। আমদানিকৃত পেঁয়াজ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে যাচ্ছি। তবে পেঁয়াজ আমদানিতে ঝুঁকিও কম নয় বলে জানিয়েছেন।
টেকনাফ স্থলবন্দরের ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট ব্যবস্থাপক মো: জসিম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, মিয়ানমার থেকে আবারও পেঁয়াজ আমদানি বাড়ছে। ব্যবসায়ীরা চাহিদা অনুযায়ী পেঁয়াজ আমদানি করছেন। তবে আমদানিকৃত পেঁয়াজ সমূহ দ্রুত সময়ে খালাস করে সরবরাহ করা হয়েছে।