বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৫ থেকে ৭ শতাধিক ভারতীয় ট্রাক চালক বাংলাদেশ প্রবেশ করে থাকে। করোনাভাইরাস ঠেকাতে পণ্য বহনকারী এসব চালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই বন্দরে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে দেখা যায়, বেনাপোল ইমিগ্রেশনে পাসপোর্ট যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম পূর্বের ন্যায় স্বাভাবিক রয়েছে। তবে এখনও ঠিক হয়নি থার্মাল স্ক্যানার।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আব্দুল মজিদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রতিদিন এ পথে ভারত থেকে আমদানি পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে চালকরা বেনাপোল বন্দরে আসছে এবং থাকছে। এ সময় তারা এখানকার বন্দর শ্রমিক ও বিভিন্ন হোটেল-দোকানে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করছে। এতে ভাইরাসটি সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গত সপ্তাহে কথা বলেছি। এখনও পর্যন্ত তারা কোনো সিদ্ধান্ত না জানানোয় ট্রাক চালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছেনা। তবে ইমিগ্রেশনে যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক(প্রশাসন) আব্দুল জলিল বলেন, ভারতীয় ট্রাক চালকদের বাংলাদেশে প্রবেশের আগে যাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় তার জন্য দ্রুত নির্দেশনা দেওয়া হবে।
বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক বলেন, যেহেতু ইতোমধ্যে এ ভাইরাসটি দ্রুত বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে তাই এখন থেকে যদি সচেতনতা না বাড়ানো হয় তবে বাংলাদেশেও আক্রান্ত হতে পারে।
এদিকে চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে এখনও পর্যন্ত ঠিক হয়নি ভাইরাস শনাক্তে প্রাথমিক পরীক্ষা যন্ত্র থামাল স্ক্যানার মেশিন। হ্যান্ড থামাল মেশিন দিয়ে যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। এতে যেমন ভাইরাস রোধে ঝুঁকি থাকছে তেমনি যাত্রীরাও ভোগান্তিতে পড়ছেন।
উল্লেখ্য, ভ্রমণ, চিকিৎসা ও বাণিজ্যিক কাজে বেনাপোল ইমিগ্রেশন হয়ে প্রতিদিন ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করে থাকে। এসব যাত্রীদের মধ্যে ১২ শতাংশ রয়েছে বিদেশি যাত্রী। তাই এ সীমান্তে ভাইরাসটি সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি রয়েছে।