গাইবান্ধায় সবজির রাজ্য হিসেবে পরিচিত ধাপেরহাট। এলাকাটিতে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি কৃষকরা চাষ করেন হলুদ। বর্তমানে মাটি খুঁড়ে সেই রঙিন ফসল তুলছেন চাষিরা।
মঙ্গলবার (৪ ফ্রেব্রুয়ারি) সরজমিনে দেখা যায়, ধাপেরহাট ইউনিয়নের সদরপাড়া গ্রামের কৃষকরা কোদালে মাটি খুঁড়ে খুঁড়ে হলুদ তুলছেন। এবার হলুদের বাম্পার ফলন হওয়ায় তাদের মুখে ফুটেছে রঙিন হাসি।
কথা হয় কৃষক আনছার আলী মণ্ডলের সঙ্গে। হলুদ চাষ প্রসঙ্গে তিনি জানান, সাধারণত বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে হলুদ রোপণ করা হয়। পৌষ-মাঘ মাসে জমি থেকে হলুদ ওঠানো হয়। এ ফসলের প্রতি বিঘায় খরচ হয় প্রায় ১৩-১৫ হাজার টাকা। আর ফসল উৎপাদন হয় প্রায় ৭০ থেকে ৮০ মণ। বাজারে দাম ভালো পেলে প্রতি বিঘায় কৃষক প্রায় ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকা মুনাফা করতে পারেন। এবারে তিন বিঘা জমিতে হলুদ চাষ করেছেন বলে জানান হলুদ চাষি আনছার আলী মণ্ডল।
আরেক কৃষক এন্তাজ উদ্দিন ব্যাপারী জানান, ধাপেরহাট এলাকার কৃষকরা যুগযুগ ধরে হলুদ চাষ করে আসছেন। হলুদের ওপর নির্ভশীল এ এলাকার চাষিরা। ফসলটি তুলনামূলক লাভজনক হওয়ায় এলাকাটিতে হলুদ চাষির সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানিয়েছে, এবারে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে চলতি মৌসুমে ২৩৫ হেক্টর জমিতে হলুদ আবাদ করা হয়েছে। মসলা জাতীয় ফসলের মধ্যে হলুদ একটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। রান্নার কাজ ছাড়াও অনেক ধরনের প্রসাধনীর কাজে ও রঙ শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে হলুদ ব্যবহৃত হয়। এ কারণে হলুদের চাহিদা অনেক বেশি। হলুদে বিভিন্ন ভিটামিন থাকে, যার ব্যবহারে মানবদেহ নানাভাবে উপকৃত হয়।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান বার্তা২৪.কমকে জানান, ধাপেরহাট অঞ্চলের কৃষকরা দিনে দিনে আরও বেশি করে হলুদ চাষে ঝুঁকছেন। হলুদ চাষে তাই কৃষকদের সহযোগিতা করা হচ্ছে।