কুতুপালং ক্যাম্প থেকে: মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া এখনো অব্যাহত রয়েছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর লক্ষ্যে চীন, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে ত্রিদেশীয় আলোচনা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪ (এক্স) এ কয়েকটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নেয়ার বিষয়ে সরকার এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে যেতে পারেনি। রোহিঙ্গা সঙ্কটে যে সকল আন্তর্জাতিক সংস্থা সহযোগিতা করেছে, তাদের সঙ্গে আলোচনার পর সে সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে। কিন্তু ভাসানচরের চেয়ে রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। খুব শীঘ্রই প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ সফল হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবতায় আজ ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গার জীবন বেঁচে আছে। জাতিসংঘের ৭৩তম অধিবেশনও তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। দুই দফা চেষ্টার পরও রোহিঙ্গাদের শর্তের মুখে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া চালু করা যায়নি। তাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মাধ্যমে মিয়ানমারকে চাপ প্রয়োগও অব্যাহত রাখা হয়েছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও আধিপত্য বিস্তার বন্ধে কী উদ্যোগ নিবে সরকার-এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের খবর আসছে রোহিঙ্গাদের মধ্যে সংঘর্ষ লেগেই আছে। বৃহস্পতিবার সরকারের উচ্চ পর্যায়ে এ বিষয়ে একটি বৈঠক রয়েছে। সেখানে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলাম, সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন, মীর মোস্তাক হোসেন, আর এন জুয়েল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শাহ কামাল, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মাহবুব আলম।