চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মহিলা কলেজ সড়কে নির্মাণাধীন মডেল মসজিদের সিসি ঢালায়ে চুয়াডাঙ্গা গণপূর্তের উপ সহকারী প্রকৌশলীর সামনেই নিম্ন মানের খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ করছেন এলাকাবাসী। অভিযোগ স্বীকার করে খোয়া পরিবর্তনের আশ্বাস দিয়েছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মার্স বিল্ডার্সের মালিক হাবিবুর রহমান লাভলুসহ গণপূর্তের ওই সহকারী প্রকৌশলী এনামুল হক।
২০১৪ সালের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন শীর্ষক প্রকল্প হাতে নেয় বর্তমান সরকার। ৮ হাজার ৭২২ কেটি টাকা ব্যয়ে এপ্রিল-২০১৭ হতে ডিসেম্বর-২০২০ পর্যন্ত মেয়াদকাল ধরা হয় এই প্রকল্পের।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মহিলা কলেজ সড়কের মডেল মসজিদের শিডিউল হয় গত বছর মে মাসে। গণপূর্ত বিভাগের অধীনে ১১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার ওই মডেল মসজিদের কাজ পায় মার্স বিল্ডার্স চুয়াডাঙ্গা নামের প্রতিষ্ঠানটি। গত ১৫ জানুয়ারি নির্মাণ কাজ শুরু করে মার্স বিল্ডার্স। সিসি ঢালাইয়ে অনিয়মের অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীর অভিযোগ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাটি খুঁড়ে ভালোভাবে পাইলিং না করে নিম্ন মানের খোয়া দিয়ে সিসি ঢালাই শুরু করেছে। কাজ বুঝে নেওয়ার দায়িত্বে থাকা চুয়াডাঙ্গা গণপূর্তের সহকারী প্রকৌশলী এনামুল হকের সামনেই এই নিম্ন মানের খোয়া ব্যবহার করছেন ঠিকাদার। কাজের শুরুতে অনিয়ম নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী। তাদের দাবি কর্তৃপক্ষ উদাসীনতার কারণেই এমনটি হচ্ছে।
সরজমিনে দেখা যায়, নিয়ম অনুযায়ী পাইলিং না করেই সিসি ঢালাই শুরু করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। যার ফলে কয়েক জায়গায় সিসি ঢালাই এরই মধ্যে ফাটল দেখা দিয়েছে। উপস্থিত সহকারী প্রকৌশলীকে ফাটল দেখালে তিনি বলেন মাটি দেবে গিয়েছে, যার কারণে ফাটল দেখা দিয়েছে। মাটি কি তাহলে ভালো করে পাইলিং করা হয়নি জিজ্ঞাসা করতেই এড়িয়ে যান- সহকারী প্রকৌশলী এনামুল হক।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা, মার্স বিল্ডার্সের মালিক হাবিবুর রহমান লাভলু নিম্ন মানের খোয়ার কথা শিকার করে উপস্থিত এলাকাবাসীর সামনে বলেন, এগুলো ভাটা থেকে কেনা খোয়া, যার কারণে একটু ভিন্নতা দেখা দিয়েছে। তবে এলাকাবাসী যখন অভিযোগ করছেন তখন আগামী কাল এই খোয়াগুলো পরিবর্তন করে দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা গণপূর্ত বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী এনামুল হকের সঙ্গে কথা হলে তিনি মসজিদ নির্মাণে নিম্ন মানের খোয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমরা সবসময় কাজের তদারকি করছি। এখানে অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই। তবে এই খোয়াগুলো পরিবর্তন করেই মডেল মসজিদ নির্মাণ হবে বলে জানান তিনি।