কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড.হোসেনেয়ারা বকুলের বিরুদ্ধে এক প্রাইভেটকার চালককে বাসায় নিয়ে মারধর করে বাথরুমে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে । তার ব্যক্তিগত প্রাইভেটকারের সঙ্গে অন্য একটি কারের ধাক্কা লাগার জের ধরে তিনি এই ঘটনা করেছেন বলে অভিযোগ নির্যাতিত ওই চালকের।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ভুক্তভোগী চালক মো.শরীফ মিয়া (২৮) বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এদিন কুমিল্লার ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট এলাকার ইস্পাহানি স্কুল অ্যান্ড কলেজের গাড়ি পার্কিংয়ের স্থানে প্রথম ঘটনার সূত্রপাত ঘটে। মারধর ও নির্যাতনের শিকার শরীফ আদর্শ সদর উপজেলার কুচাইতলী এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে। তিনি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে অবস্থিত কুমিল্লা পদুয়ার বাজারের নূরজাহান হোটেলের স্বত্বাধিকারী রাশেদুল ইসলামের প্রাইভেটকার চালক।
ভুক্তভোগী শরীফ মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রাশেদুল ইসলামের মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী গাড়ি থেকে নেমে যাওয়ার পর কুমিল্লা ময়নামতি ক্যান্টনম্যান্ট ইস্পাহানি স্কুল অ্যান্ড কলেজের পার্কিংয়ে গাড়ি রাখতে গেলে অভিযুক্ত হোসনেয়ারা বকুলের গাড়ি চালক আমার প্রাইভেটকারের পিছনে ধাক্কা দেয়। এতে প্রায় ১০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়। পরে আমি এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে অভিযুক্ত মহিলা ভাইস চেয়ারমান অ্যাড.হোসনেয়ারা বকুল গাড়ি থেকে নেমে আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করেন। এক পর্যায়ে তিনি মোবাইল ফোনে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের ডেকে আনেন। কিছুক্ষণ পর ২/৩ জন ব্যক্তি এসে আমাকে কিল ঘুষি মেরে টেনে-হিঁচড়ে অভিযুক্তের গাড়িতে তুলে নেয়। পরবর্তীতে চেয়ারম্যানের বাসায় নিয়ে বাথরুমে আটক রেখে নির্যাতন করে। আমি বাঁচার জন্য আকুতি জানিয়ে মোবাইল ফোনে আমার গাড়ির মালিককে জানালে তিনি পুলিশ পাঠিয়ে বিকেলের দিকে আমাকে বাথরুম থেকে উদ্ধার করান।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. হোসনেয়ারা বকুল। তিনি বলেন, গাড়িতে ধাক্কা লাগায় আমি প্রতিবাদ করতে গেলে স্থানীয় লোকজন ওই চালককে মারধর করতে আসে। পরে আমি তাকে উদ্ধার করে বাসায় নিয়ে আসি। সে থানায় যে অভিযোগগুলো করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাতে এই বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মো.আনোয়ারুল হক বলেন, আদর্শ সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড.হোসনেয়ারা বকুলের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে আমরা তদন্ত করবো। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।