গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র সোহেল সরকার রানার সুন্দর এ ভূবন দেখার স্বাদ হারিয়ে যেতে বসেছে। ধীরে ধীরে দুই চোখের আলোই নিভতে চলেছে এই শিক্ষার্থীর।
সোহেলের বাড়ি উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের তালুক বেলকা গ্রামে। সে দিনমজুর হায়দার আলীর ছেলে ও পঞ্চানন্দ আর ইউ দ্বি-মূখী দাখিল মাদরাসার ছাত্র।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তার স্বজনেরা জানায়, জন্মের পর থেকেই বাম চোখ একটু ছোট হওয়ায় কম দেখতে পেত সোহেল। জন্মের বছর চারেক পর পিতা হায়দার আলী তা জানতে পেয়ে স্থানীয় চিকিৎসক, উলিপুর মরিয়ম চক্ষু হাসপাতালসহ রংপুরের বিভিন্ন চক্ষু চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা চলার পরেও বাম চোখের কোন উন্নতি হয়নি। এমনকি এক পর্যায়ে তার ডান চোখেও এর প্রভাব পড়ে। ফলে দিনমজুর পিতা দিশেহারা হয়ে শেষ প্রচেষ্টা হিসেবে ঢাকার ইস্পাহানি ইসলামিয়া চক্ষু ইনস্টিটিউট হাসপাতালে বিগত বছরের মার্চ মাসে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান। অপারেশনের প্রস্তুতি নেয়ার সময় অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে গেলে তার কিডনিজনিত সমস্যা ধরা পড়ে।
উপায় না পেয়ে নিঃস্ব হায়দার আলী ওই মাসেই জাতীয় কিডনী ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি করান সোহেলকে। ওই হাসপাতালে তিন দিন চিকিৎসার পর সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কিডনিবিভাগে চিকিৎসার পরামর্শ দেন।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনি বিভাগে কয়েক মাস চিকিৎসার পর কিডনিজনিত সমস্যা নিরাময় হলে সোহেল সরকার রানাকে পুনরায় দু'চোখের অপারেশনের জন্য ঢাকার ইস্পাহানি ইসলামিয়া চক্ষু ইনস্টিটিউট হাসপাতালের রেটিনা বিভাগে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসক মোহাম্মদ ইবনে আব্দুল মালেক'র তত্ত্বাবধানে বাম চোখের অপারেশন করার চারমাস পরে দ্বিতীয় বার ওই চোখের অপারেশন করা হয়।
চিকিৎসক মোহাম্মদ ইবনে আব্দুল মালেক জানিয়েছেন, পুনরায় সোহেলের বাম চোখসহ ডান চোখে অস্ত্রোপচার করতে হবে। তবে এর জন্য প্রয়োজন উন্নত চিকিৎসা। এতে কয়েক লাখ টাকা ব্যয় হবে। কিন্তু এত টাকা জোগাড় করা হায়দার আলীর মোটেও সম্ভব নয়। কারণ সোহেলের জন্মের পর থেকে তার চিকিৎসা ব্যয়ে সহায়-সম্বল হারিয়ে পথে বসেছেন।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে তিনি প্রধানমন্ত্রীসহ দেশের চক্ষু চিকিৎসক, বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও বিত্তবান মহৎ ব্যক্তিদের নিকট ছেলের দু'চোখের আলো ফিরে পেতে উন্নত চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্য কামনা করেছেন।
সাহায্য পাঠাতে পারেন ০১৭১৭-০৫২৬৮৩ (বিকাশ-ব্যক্তিগত) অথবা, সঞ্চয়ী হিসাব নং-১৭১৪৩, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ, সুন্দরগঞ্জ শাখা, গাইবান্ধা।