অটোবাইকের জন্য খুন হন আয়নাল

মানিকগঞ্জ, দেশের খবর

খন্দকার সুজন হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ | 2023-08-10 06:42:21

আয়নাল মিয়া (৩০) পেশায় অটোবাইক চালক। রংপুরের গঙ্গাচড়া থানার পূর্ব কচুয়া গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে তিনি। তবে জীবিকার তাগিদে ভাড়া থাকতেন ঢাকার সাভার উপজেলার তেঁতুলঝোড়া এলাকার মঞ্জুরের বাড়িতে। সেখানে থেকে অটোবাইক চালিয়ে বেশ ভালো চলছিল আয়নাল মিয়ার সংসার জীবন।

যে অটোবাইক চালিয়ে সংসারের হাল ধরে ছিলেন আয়নাল। সেই অটোবাইকের জন্যই খুন হতে হয় তাকে। অটোবাইকের সাথে আয়নালের ফোনও নিয়ে যায় খুনিরা। গত ১১ জানুয়ারি সিংগাইর থানার ধল্লা ব্রিজের পাশ থেকে আয়নালের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিনই অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন আয়নালের স্ত্রী বিলকিস বেগম।

এরপর আয়নালের মোবাইলের সূত্র ধরেই খুনিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় আয়নালের অটোবাইক ও মোবাইল ফোন। অটোবাইকের জন্যই আয়নালকে খুন করা হয় বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশকে জানায় আয়নালের খুনি মো. গোলাপ মিয়া।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিংগাইর থানার এসআই আনোয়ার হোসেন বার্তা২৪.কমকে জানান, অটোবাইক চালক আয়নালের হত্যা মামলাটি ছিল ক্লুলেস। তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে আয়নাল হত্যার প্রধান আসামি গোলাপ মিয়াকে (৩২) কে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার রূপনগর আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। নেত্রকোনা জেলার বারহাট্রা সিংধা এলাকার ইন্তাজ আলীর ছেলে গোলাপ।

গোলাপের দেওয়া তথ্যানুযায়ী নেত্রকোনার বাংলাবাজার এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় আয়নালের অটোবাইক। আর ধর্মপাশা থানার জয়শ্রী মেহশপুর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় তার মোবাইলফোন। হত্যাকাণ্ডের পর সিংগাইর থেকে একটি ট্রাকে করে অটোবাইকটি নেত্রকোনায় নিয়ে যাওয়া হয়।

আর এই কাজে সহায়তা করার জন্য গ্রেফতার করা হয় নূর আমিন (৩১) নামের আরেক আসামিকে। নূর আমিন গোলাপের প্রতিবেশী। তারা একসাথে রুপনগর এলাকায় থাকতেন। হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত অপর আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে আসামিদেরকে আদালতে পাঠানো হবে জানান এস আই আনোয়ার।

এ সম্পর্কিত আরও খবর