মেহেরপুর শহরের কাছাকাছি মাঠে রবি ফসলের (সরিষা, মসুর, গম ইত্যাদি) ক্ষেত ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে। এসব ফুলের রস আহরণে ব্যস্ত মৌমাছিসহ নানা পতঙ্গ। আর জমির উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ডিসের তারে বসে থাক সবুজ সুইচোরা পাখি হঠাৎ উড়ে এসে শিকার করছে এসব পতঙ্গ।
শরীরের একহারা সবুজ বর্ণসুষমা ও কীটপতঙ্গ ধরার জন্য পাখিটির ইংরেজি নাম হয়েছে ‘গ্রিন বি-ইটার’। তবে এই পাখির আরও একটি বাংলা নাম হলো ‘বাঁশপতি’। এরা বাংলাদেশের সুলভ আবাসিক পাখি।
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা শহরের আশপাশের মাঠঘাটে গেল কয়েক সপ্তাহ ধরে সবুজ সুইচোরা পাখির দেখা মিলছে। সারা বছর এদের তেমন দেখা মেলে না। শীতকালে যখন মাঠে ও বিভিন্ন গাছে ফুলের সৌরভ ছড়ায়, তখন মৌমাছি ও কীটপতঙ্গ শিকারের বের হয় সবুজ সুইচোরা। সুন্দর রঙের এ পাখিগুলো দেখতে পথচারীরাও কিছুক্ষণ থেমে যান।
সবুজ সুইচোরা সম্পর্কে মেহেরপুর বার্ড ক্লাব সভাপতি এমএ মুহিত বলেন, ‘খাদ্যচক্রের মাধ্যমে এক প্রাণী থেকে আরেক প্রাণী বাঁচে। এরই অংশ হিসেবে মৌমাছি ও পতঙ্গ শিকার করে সবুজ সুইচোরা। অনেকটাই বিলুপ্ত প্রায় এ পাখি ফসল উৎপাদনের জন্য অনেক উপকারী।
সবুজ সুইচোরা ফসলের ফড়িং, মাজরার মথ, গুবরেপোকা, পিঁপড়া ও উইপোকাসহ ক্ষতিকর অনেক পোকা শিকার করে থাকে।
এ প্রসঙ্গে মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘পাখি হচ্ছে ফসলের অতন্দ্র প্রহরী। পাখিকুল রক্ষার মধ্য দিয়ে ফসল আবাদে কীটনাশকের মাত্রা কমানো সম্ভব। এক্ষেত্রে সবুজ সুইচোরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।