ক্যালেন্ডারের পাতায় বসন্ত আসতে এখনও ক'দিন বাকি। তবু বিদায়ী শীতের শুষ্ক প্রকৃতিতে লেগেছে দখিনা বাতাসের দোলা। নতুন পাতার শরীরের তীব্র সবুজ বিচ্ছুরিত হচ্ছে চারপাশে। শ্যামলে-সবুজে ভরে গেছে চরাচর।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অনিন্দ্য ক্যাম্পাসে শুরু হয়েছে বসন্তের আগাম আবাহন। ক্যাম্পাসের পার্বত্য ভূমিতটে পত্র, পল্লব, বৃক্ষের আনন্দিত উচ্ছ্বাস ঝরছে। বনভোজন, মিলন মেলা, আড্ডায় মেতেছে শিক্ষার্থীরা।
চবিতে অধ্যয়নরত কিশোরগঞ্জের শিক্ষার্থীরা শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) মিলিত হয়েছিল ক্যাম্পাসের দক্ষিণ উপান্তের একখণ্ড উপত্যকা-সদৃশ্য পার্বত্য বনানী ঘেরা সবুজ ভূমিতে। কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির আয়োজনে নবীন বরণের বাতাবরণে ছিল বসন্ত আবাহনের আমেজ আর বনভোজনের উত্তাপ।
তরুণ শিক্ষার্থীদের কোলাহল আর বসন্তের আগাম আবাহনে জেগেছে প্রকৃতি, জেগেছে তারুণ্য। চিরায়ত বাংলার প্রাকৃতিক বিভা, রূপ, রস, গন্ধ ছড়িয়েছে প্রকৃতির সর্বত্র। ছড়িয়েছে উৎসবমুখর বাঙালির হৃদয়ের উষ্ণতা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বার্তা২৪.কম'র অ্যাসোসিয়েট এডিটর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মাহফুজ পারভেজ বলেন, 'তারুণ্য আর বসন্ত চলে হাত ধরাধরি করে। তারুণ্যের শক্তিতে বসন্তের দীপ্তিতে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ইতিবাচকতায় জাগ্রত হতে হবে।'
সমিতির সভাপতি ওয়াদিজ্জামান তাইবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অংশ নেন চবি শিক্ষক জাকিয়া শারমিন, মো. আবু বকর ছিদ্দিক, নাজিফা রশিদ, লেখক-গবেষক মো. নাজমুল ইসলাম চৌধুরী, সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত পাল, চট্টগ্রামস্থ কিশোরগঞ্জ জেলা সমিতির নূরনবী পণির, আরিফুল ইসলাম উজ্জ্বল, সানজিদা স্বপ্নীল, সবুজ মিয়া, মোবারক আজাদ, আজিজুল হক, ফরহাদ হোসেন এবং মীরাক্কেল-খ্যাত পারফর্মার কায়কোবাদ।
দিনব্যাপী আয়োজনে আলোচনা, নবীন বরণ, নাটক, গান ছাড়াও ছিল কিশোরগঞ্জের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের নান্দনিক উপস্থাপনা।