জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে রেজাউল ইসলাম ভূইয়াকে অতিরিক্ত মহাসচিব হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে তারই শ্বশুরের নেতৃত্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ ও ঝাড়ু মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা জাতীয় পার্টির আয়োজনে শহরের পৌর মুক্ত মঞ্চের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে ঝাড়ু উঁচিয়ে রেজাউলের দুই গালে জুতা মারো তালে তালেসহ বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এসে অনুষ্ঠিত হয় প্রতিবাদ সমাবেশ।
কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির উপদেষ্টা, জেলা কমিটির আহ্বায়ক ও রেজাউল ইসলামের শ্বশুর অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধার সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব কাজী মানুনুর রশিদ, সিনিয়র যুগ্ন-আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, ওয়াহেদুল হক ওয়াহাব, সদস্য জামাল রানা প্রমুখ।
আগামী ১০ দিনের মধ্যে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি পুনর্গঠনের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটি পুনর্গঠন করা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে এবং তৃণমূল জাতীয় পার্টি গঠন করা হবে। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব রেজাউল ইসলাম ভূইয়া এসবে জড়িত উল্লেখ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
রেজাউল ইসলামের শ্বশুর অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা বলেন, জেলা জাতীয় পার্টির মতামত উপেক্ষা করে রেজাউল ইসলাম ভূইয়াকে অতিরিক্ত মহাসচিব ও নাসিরউদ্দিন খানকে সদস্য করা হয়েছে। এখানে তৃণমূলের মতামতের যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়নি। রেজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে অনেক অপকর্মের অভিযোগ থাকার পরেও তাকে কিভাবে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা হয় তা জনমনে প্রশ্ন। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বহিষ্কার করার দাবি জানান তিনি।
উল্লেখ্য, রেজাউল ইসলাম ভূইয়া ও তার শ্বশুর জিয়াউল হক মৃধা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের মনোনয়ন নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন। নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে রেজাউল ইসলাম তার শ্বশুর জিয়াউল হক মৃধা দুজনেই মহাজোটের মনোনয়ন চান। এসময় জামাই মহাজোটের মনোনয়ন পাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে জিয়াউল হক মৃধা রেজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামেন। বিষয়টি দেশ জুড়ে ব্যাপক আলোচিত ছিল।