জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, সৎ রাজাকার আর পরহেজগার জঙ্গি বলে কিছু নেই। সব রাজকার আর জঙ্গি মানুষরূপী দানব শয়তান। ঠিক তেমনি দুর্নীতিবাজরা অর্থনীতির বিষফোঁড়া এবং ফসল কাটা ইঁদুর। অসাম্প্রদায়িক ও শান্তির সমাজ হিসেবে দেখতে চাইলে জঙ্গি দমনের মত শূন্য সহিষ্ণু নীতিতে দুর্নীতিবাজদের ধ্বংস করতে হবে।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে যশোর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা জাসদের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসানুল হক ইনু বলেন, জাসদ সমাজতন্ত্রের দল। জাসদ সমাজ পরিবর্তনে বিশ্বাস করে। জাসদ বিশ্বাস করে সমাজ পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ বাধা সাম্প্রদায়িকতা। আপনি বামপন্থী হলে সামনে দাঁড়িয়ে সাম্প্রদায়িকতা, সাম্রাজ্যবাদ ও বিদেশি হানাদার বাহিনীর আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য সামরিক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সামনে দাঁড়িয়ে লড়াই করতে হবে। মুক্তবাজার অর্থনীতিকে ছুড়ে ফেলতে হবে। জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় কোনো ছাড় দিবে না জাসদ।
তিনি আরও বলেন, সরকারের বিগত দশ বছর ছিল সাম্প্রদায়িক শক্তি, যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গি ও নাশকতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ। ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন পর্ব শুরু হয়েছে। এই পর্বটি বিগত দশ বছরের যুদ্ধের চেয়ে কঠিন। কারণ এই পর্বে একটা পাটাতন তৈরি করতে হবে। জমিন তৈরি করতে হবে। যে জমিনে ভবিষৎ নাতিপুতিদের নিরাপদ নিশ্চিত করতে হবে। তারা যাতে হাসিখুশিতে বসবাস করতে পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। এই সংগ্রামে জয়ী হতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পুনর্জাগরণ দরকার; সর্বস্তরে বাঙালিয়ানা চর্চা দরকার। সরকারের নতুন এই পর্বে চেতনার পুনর্জাগরণ হলে সমাজে, প্রশাসনে ও রাষ্ট্রে দুর্নীতি থাকবে না।
যশোর জেলা জাসদের সহসভাপতি রশিদুর রহমান রশিদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাসদের কেন্দ্রীয় কার্যকরী সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম, জাসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাদের চৌধুরী ও ওবায়দুর রহমান চুন্নু ,সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আলিম স্বপন। সম্মেলন সঞ্চালনা করেন যশোর জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা অশোক রায়। সম্মেলন শেষে মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলমকে সভাপতি ও অশোক রায়কে সাধারণ সম্পাদক করে যশোর জেলা জাসদের কমিটি ঘোষণা করা হয়।