ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় চলমান এসএসসি পরীক্ষায় নকলে সহযোগিতা না করায় সৈয়দাবাদ এ এস মনিরুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে । এতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী মনসুরসহ ১০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার গোপীনাথ ইউনিয়নের শহীদ বাবুল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় সোনিয়া আক্তার ও সাবিকুন্নাহার তন্বী নামের দুই পরীক্ষার্থীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকি আহতদের নাম পরিচয় নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারেনি।
সৈয়দাবাদ এ এস মনিরুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী মনসুর জানান, গোপীনাথপুর শহীদ বাবুল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের আসন বিন্যাস করা হয়েছে। রোববার ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা দেওয়ার সময় গোপীনাথপুর গ্রামের এক যুবক তাদের বিদ্যালয়ের এক পরীক্ষার্থীকে নকল সরবরাহের জন্য মনিরুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে বলে। সেই শিক্ষার্থী নকল সরবরাহে অপারগতা প্রকাশ করলে পরীক্ষা শেষে তাকে মারধর করেন সেই যুবক। এরপর প্রধান শিক্ষক ওই ছাত্রকে নিয়ে কেন্দ্র সচিবের কাছে বিষয়টি অবহিত করেন। এরপর তারা বাড়ি ফিরে যেতে চাইলে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বহিরাগতরা মিলে তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় এএস মনিরুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী মনসুরসহ ১০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদেরকে উদ্ধার করে কসবা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে সোনিয়া আক্তার ও সাবিকুন্নাহার তন্বী নামের দুই পরীক্ষার্থীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে কসবা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মাসুদুল আলম জানান, বিষয়টি আমাদের নজরদারিতে রয়েছে। দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রের সামনে নজরদারি বাড়ানো হবে বলেও জানান তিনি।