বৈদ্যুতিক খুঁটির পরিবর্তে গাছ দিয়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন স্থাপন করে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের চরপুম্বাইল গ্রামে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এরপর সেখান থেকে বাঁশের খুঁটির মাধ্যমে বিদ্যুতের তার টেনে আশপাশের প্রায় ত্রিশটি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ বিদ্যুৎ সঞ্চালন কাজে ব্যবহৃত গাছগুলো রোদ-বৃষ্টিতে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগে একাধিকবার জানানো হলেও কেউ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
জানা গেছে, দুই বছর পূর্বে ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের দত্তপাড়া থেকে উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের চরপুম্বাইল গ্রাম পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন স্থাপন করা হয়। ওই সময় বিদ্যুৎ বিভাগের কিছু অসাধু লোকজন বৈদ্যুতিক (সিমেন্টের পিলার) খুঁটির পরিবর্তে কিছু জায়গায় বাঁশ ও সড়কের পাশে থাকা গাছের ডাল-পালা কেটে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন সম্প্রসারিত করে। এরপর ওই গ্রামে কভারবিহীন তারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়।
বিষয়টি নিয়ে সচেতন মহল আপত্তি জানালে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন দ্রুততম সময়ের মধ্যে সঞ্চালন লাইন সংস্কার ও কভার তার দিয়ে সঞ্চালন লাইন সংস্কার করার আশ্বাস দেয়।
কিন্তু দীর্ঘদিন পার হলেও সঞ্চালন সংস্কার কিংবা সিমেন্টের খুঁটি স্থাপন না করায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা ঝড় বৃষ্টির মধ্যে দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দেয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, বৈদ্যুতিক খুঁটির পরিবর্তে সড়কের পাশ থাকা গাছগুলোর ডাল-পালা কেটে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তার পেঁচানো হয়েছে। এরপর সেখান থেকে বাঁশের খুঁটির মাধ্যমে গ্রামের বাড়িগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
বড়হিত ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মো. আজিজুল হক বলেন, ঝুঁকিপূর্ণভাবে সংযোগ নিতে মানা করায় স্থানীয় কিছু লোক আমার ওপর ক্ষুব্ধ হয়। কিন্তু বাশেঁর ও গাছের খুঁটিতে নিম্নমানের বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের কারণে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এই বিষয়টি সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
ঈশ্বরগঞ্জ পিডিবির (আবাসিক) প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, আমি এখানে যোগদানের পূর্বে ঝুঁকিপূর্ণ এই বিদ্যুৎ লাইন স্থাপন করা হয়েছে। এই মুহূর্তে লাইন সংস্কার করার করার মতো বরাদ্দ নেই। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। বরাদ্দ পেলে লাইনটি স্ট্যান্ডার্ড করা হবে।