ভারত রফতানি বন্ধ করে দেওয়ায় দেশে সৃষ্টি হয় পেঁয়াজ সঙ্কট। জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যায় পেঁয়াজ। সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে ও লাভের আশায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের চরাঞ্চলগুলোতে বেড়েছে পেঁয়াজ চাষ। বিশেষ করে জেলার পদ্মা নদীর চরাঞ্চল এলাকায় ব্যাপকভাবে পেঁয়াজ চাষ করছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলনের আশাও করছেন তারা।
এদিকে পেঁয়াজ বীজ বিক্রি করে অন্য বছরের তুলনায় বেশি আয় করছেন ব্যবসায়ীরা। বীজ বিক্রেতারা বলছেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার অনেক বেশি পেঁয়াজ আবাদ হচ্ছে। তাই বীজের চাহিদা বেশি আছে। প্রতি মণ পেঁয়াজের বীজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ থেকে ১৭০০ টাকায়।
তবে চাষিরা বলছেন, বিগত কয়েক বছর পেঁয়াজ চাষে তেমন লাভ হয়নি। আবহাওয়া ভালো থাকলে আগামী তিন মাসের মধ্যে পাওয়া যাবে নতুন পেঁয়াজের ফলন। কৃষি বিভাগ যদি সরকারি উদ্যোগে বীজ সরবরাহ করে তবে এখানে প্রচুর পেঁয়াজ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। জেলার চরাঞ্চলগুলো এখন পেঁয়াজ চাষের উপযোগী। ভালো ফলন হলে কমে আসবে বিদেশি পেঁয়াজ আমদানির প্রবণতা।
শিবগঞ্জ উপজেলার কমলাকান্তপুর এলাকার পেঁয়াজ চাষি আবু হেনা জানান, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া ভাল থাকায় এবার তিন বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করছেন তিনি। অন্য বছরের তুলনায় এবার পেঁয়াজ বীজের দাম বেশি হলেও তা নিয়ে চিন্তিত নন তিনি। আবহাওয়া বিরাজমান থাকলে তিন বিঘার পেঁয়াজ বিক্রি করে সারা বছরের সংসার চলবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি বিভাগ জানিয়েছেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা বেড়েছে। প্রত্যাশিত উৎপাদন পেলে জেলার চাহিদা মিটিয়ে, দেশের অন্যান্য জেলায়ও এই পেঁয়াজ সরবরাহ সম্ভব।
চলতি মৌসুমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গতবারের চেয়ে দ্বিগুণ।