বগুড়ায় ৯৯৯ এর সাহায্য নিয়ে অপহৃত বিআরটিসি কর্মচারীকে উদ্ধার করলেও অপহরণকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। শুধু তাই নয়, অপহৃতের দুইটি মোবাইল ফোনও উদ্ধার করেনি পুলিশ।
অপহৃত বিআরটিসি কর্মচারী মুরাদুজ্জামানের অভিযোগ- অপহরণকারীরা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মী হওয়ায় তাদেরকে আটক করেনি পুলিশ।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিআরটিসি বগুড়া বাস ডিপো থেকে প্রকাশ্যে এই অপহরণের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বিআরটিসি বগুড়া বাস ডিপোর ম্যানেজার হলেন ওমর ফারুক মেহেদী। তার দুর্নীতি, লুটপাট ও স্বেচ্ছাচারিতার বিষয়ে অপহৃত মুরাদুজ্জামানসহ ডিপোর বেশ কয়েকজন কর্মচারী চেয়ারম্যান এহসানে এলাহী বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার তিন সদস্যের একটি তদন্ত দল বগুড়ায় আসেন।
এদিকে একই দিন বগুড়া ডিপো পরিদর্শনে আসেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান। তবে তদন্তদল পৌঁছার আগেই স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকর্মীরা কয়েকটি মোটরসাইকেল যোগে ডিপো থেকে মুরাদুজ্জামানকে তুলে নিয়ে যায়।
এদিকে দীর্ঘ সময় মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে স্ত্রী ও শাশুড়ি ডিপোতে এসে অপহরণের বিষয়টি জানতে পারেন। তারা ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশের সহযোগিতা কামনা করেন। একই সময় ডিপো পরিদর্শনে আসা বিআরটিসি চেয়ারম্যান ও তদন্ত টিমকে বিষয়টি জানানো হয়। তখন কর্মচারী মুরাদুজ্জামানকে অফিস থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা শুনে চেয়ারম্যান ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং আধাঘণ্টার মধ্যে তাকে উদ্ধার করার জন্য ম্যানেজারকে নির্দেশ দেন। দুপুরের দিকে স্বেচ্ছাসেবকলীগের কর্মী শাওন মুরাদুজ্জামানকে থানায় পৌঁছে দেয়। কিন্তু তার মোবাইল ফোন দুইটি ফেরত দেয়া হয় না।
অপহৃত মুরাদুজ্জামান জানান, তাকে তুলে নিয়ে আওয়ামী লীগ অফিসের পাশে একটি দোকানে আটকে রেখেছিলেন শাওন। পরে পুলিশের চাপে তাকে থানায় পৌঁছে দেয়া হয়।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান জানান, এ ঘটনায় এখনো কেউ মামলা করেনি। মামলা করলে ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।