আগামী বছরের মধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলার আখাউড়ায় আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে এসে মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শিবনগর এলাকায় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
রীভা গাঙ্গুলি বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতের বাণিজ্যিক যোগাযোগ এ পথের মাধ্যমেই হবে। পাশাপাশি কোলকাতার সঙ্গে যোগাযোগও এখান থেকেই হতে পারে।’
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ভালো সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশিদের হত্যার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে ভালো সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। এ বিষয়টি তারা যাই করবে, নিজেরা সমন্বয় করবে।’
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ভারতীয় হাইকমিশনের প্রথম সচিব আনিতা বারিক, প্রটোকল অফিসার অমরিশ কুমার, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিনা আক্তার রেইনা, আখাউড়া থানার ওসি মো. রসুল আহমেদ নিজামীসহ আরও অনেকেই।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের অক্টোবরে প্রথম এই রেলপথের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ত্রিপুরার অংশে এই রেলপথ তৈরি করছে ভারতীয় রেল মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ নির্মাণ সংস্থা ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (ইরকন)। অন্যদিকে বাংলাদেশ অংশে রেলপথ নির্মাণ করছে বাংলাদেশি স্থানীয় সংস্থা।
এ প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৮০ কোটি রুপি। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশের ১০ কিলোমিটারের জন্য প্রায় ৪৭৮ কোটি টাকা এবং ভারতের ৫ কিলোমিটার অংশের জন্য ৫৮০ কোটি রুপি।
এই প্রকল্পটি চালু হলে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের দূরত্ব হবে ১৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে আখাউড়া রেল জংশন স্টেশন থেকে গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন হয়ে ত্রিপুরা সীমান্ত পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার। ত্রিপুরা রাজ্যের নিশ্চিন্তপুর হবে দুই দেশের সীমান্ত স্টেশন। সীমান্ত থেকে আগরতলা রেলস্টেশন পর্যন্ত হবে ৫ কিলোমিটার।