করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বেনাপোল রেলওয়ে চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ ট্রেনে যাতায়াতকারী পাসপোর্টধারী যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে এ স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়।
এর আগে শুধু এপথে চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ও ভারতীয় ট্রাক চালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হতো। এতে রেলপথে যাতায়াতকারী যাত্রীদের মাধ্যমে ভাইরাসটি সংক্রমণ ঝুঁকিতে ছিল।
বেনাপোল রেলস্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান বলেন, ‘এখন থেকে দেশে করোনাভাইরাসের শঙ্কা না কাটা পর্যন্ত যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলমান থাকবে।’
বেনাপোল রেলওয়ে ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহাসিন বলেন, ‘৪৯ জন যাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। এরা সবাই সুস্থ ছিলেন।’
স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার রফিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘এর আগে শুধু ইমিগ্রেশন যাত্রী ও ভারতীয় ট্রাক চালককে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হতো। এখন বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদের পরীক্ষার মাধ্যমে বন্দরের যাত্রী প্রবেশের সব চেকপোস্ট স্বাস্থ্য পরীক্ষার আওতায় এলো।’
বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী কবীর বলেন, ‘দেরিতে হলেও রেলপথে খুলনা-কলকাতার মধ্যে যাতায়াতকারী দেশি-বিদেশি যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু হওয়ায় তাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।’
বন্ধন রেলের কর্মকর্তা প্রশান্ত চক্রবর্তী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘ভারত অংশে অনেক আগে থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে দেরিতে হলেও চিকিৎসা কার্যক্রম চালু করায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ।’
ভ্রমণ, চিকিৎসা ও বাণিজ্যিক কাজে বেনাপোল ইমিগ্রেশন ও রেলওয়ে ইমিগ্রেশন দিয়ে গড়ে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ হাজার যাত্রী দু’দেশের মধ্যে যাতায়াত করে থাকে। এসব যাত্রীদের মধ্যে ১২ শতাংশ রয়েছে বিদেশি যাত্রী। তাই এ সীমান্তে ভাইরাসটি সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি রয়েছে। প্রতিদিন দুই শিফটে বিভিন্ন চেকপোস্টে আটজন করে ১৬ জন স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ করছেন।
হ্যান্ড থার্মাল দিয়ে যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ করা হচ্ছে।
গত ১৫ জানুয়ারি চীনে প্রথম এই করোনাভাইরাসটি দেখা দেয়। বর্তমানে ২৫টি দেশে এ ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে প্রায় ১১০০ জনের কাছাকাছি।