পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার লেবুখালীতে চার লেন বিশিষ্ট পায়রা সেতু নির্মাণ কাজ প্রায় ৬২ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে এ বছরের ডিসেম্বর নাগাদ সেতুটি চলাচলের উপযোগী হবে বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। এর ফলে পটুয়াখালী, বরগুনাসহ পুরো দক্ষিণাঞ্চলে নিরবিচ্ছিন্ন সড়ক নেটওয়ার্ক স্থাপিত হবে।
বরিশাল-পটুয়াখালী সড়কের পায়রা নদীর ওপর ২০১৬ সালে লেবুখালী-পায়রা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লনজিয়ান রোড এন্ড ব্রিজ কনেস্টাকশনের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করছে।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ব্রিজের ৬২ শতাংশ এবং পুরো প্রকল্পের ৫৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ১৪৭০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৯.৭৬ মিটার প্রস্থের এ সেতুটি ক্যাবল দিয়ে দুই পাশে সংযুক্ত করা থাকবে। ফলে নদীর মাঝখানে একটি মাত্র পিলার ব্যবহার করা হয়েছে। এতে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ঠিক থাকবে। নির্র্ধারিত সময়ে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ করতে দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীদের এখন দিনরাত ব্যস্ততা। এদিকে সেতু নির্মাণের পাশাপাশি খরস্রোতা পায়রা নদীর তীর সংরক্ষণেও কাজ করবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। আর নদীর দক্ষিণ পাড়ে থাকবে দৃষ্টিনন্দন পার্ক।
লেবুখালী-পায়রা সেতু নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক নূর-ই-আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার, কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভলপমেন্ট এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্টের যৌথ অর্থায়নে ১১শ ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে এ সেতুটি নির্মিত হচ্ছে। আশা করছি লেবুখালী সেতুটি দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের কাছে মুজিব বষের্র উপহার হিসেবে থাকবে। সে জন্য ডিসেম্বর নাগাদ মূল সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করতে কাজ চলছে।
সেতুটি নির্মিত হলে ঢাকা-পটুয়াখালী সড়কে পদ্মা ছাড়া আর কোনো ফেরি পারাপারের ভোগান্তি থাকবে না। ফলে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, পায়রা সমুদ্র বন্দরসহ এই এলাকায় নির্মানাধীন বিভিন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকায় দ্রুত যাতায়াত সহজ হবে।